মৃত্যুর চার বছর পরেও  মোঃ সামসের আলী মৃধার মরদেহ কবরে অখ্যাত অবস্থায় রয়েছে। এতে এলাকার মানুষের মাঝে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। খবর পেয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত মানুষ তার কবরের ভিতরের মরদেহ দেখতে ভীড় করছে। ঘটনা ঘটেছে মঙ্গলবার বরগুনার আমতলী উপজেলার কাউনিয়া গ্রামের।

জানাগেছে, ২০১৭ সালের ২০ সেপ্টেম্বর উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের কাউনিয়া গ্রামের নব্বই বছরের বৃদ্ধ মোঃ সামসের আলী মৃধা বার্ধক্যকনিত কারনে মৃত্যুবরন করেন। পরিবারের লোকজন ধর্মীয় রীতি অনুসারে তাকে পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করেন। চার বছর পর মঙ্গলবার সকালে তার ছেলে ফজলুর রহমান মৃধা কবরের মরদেহের মাথায় সামনে একটি গর্ত দেখতে পায়। কৌতুহল বসত তিনি ওই গর্ত দিয়ে কবরের ভিতরে তার বাবার মরদেহ অখ্যাত অবস্থায় দেখতে পায়। এ দৃশ্য দেখে তিনি চমকে যান। তাৎক্ষনি তিনি এলাকার মানুষ ডেকে আনেন। পরে স্থানীয় লোকজন এসেও ওই কবরে সামসের আলীর মরদেহ অখ্যাত অবস্থায় দেখেন। কাফনের কাপড়ে শুধু ধুলা-ময়লা লেগে আছে। এ খবর এলাকার ছড়িয়ে পড়ে।  মুহুর্তের মধ্যে বিভিন্ন এলাকা থেকে তার মরদেহ দেখতে শত শত মানুষ এসে কবরের পাশে ভীড় করে।

মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, সামসের আলীর কবরের উত্তর পাশে একটি গর্ত রয়েছে। ওই গর্ত দিয়ে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে মরদেহটি অখ্যাত অবস্থায় পড়ে আছে। মরদেহের কাফনের কাপড়ে শুধু ধুলা-ময়লা লেগে আছে। এ দৃশ্য দেখলে দিন ভর মানুষ কবরের পাশে ভীড় করছে।

স্থানীয় মোঃ সোহেল, ইউসুফ সিকদার, সোনা মিয়া ও ইউনুস সরদার বলেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে কবরে অখ্যাত মরদেহ দেখতে মানুষ এসে ভীড় করছে।

মৃত্যু বৃদ্ধ সামসের আলী মৃধার বড় ছেলে মোঃ ফজলুর রহমান মৃধা বলেন, বাবা ৯০ বছর বয়সে চার বছর পুর্বে বার্ধক্যজনিত কারনে মৃত্যুবরন করেন। মঙ্গলবার খুব সকালে আমি বাবার কবরের উত্তর পাশে একটি গর্ত দেখতে পাই। কৌতুহল বসত ওই গর্তের ভিতরে তাকিয়ে দেখি বাবার মরদেহ অখ্যাত অবস্থায় পড়ে আছে। কাফনের কাপড়ে শুধু ধুলা-ময়লা লেগে আছে। পরে স্থানীয় লোকজনকে খবর দেই। তিনি আরো বলেন, বাবা খুবই ধর্মপ্রাণ মানুষ ছিলেন। মৃত্যুর আগ মুহুর্ত পর্যন্ত বাবা আল্লাহর ইবাদত বন্দেগী করে গেছেন।  তিনি আরো বলেন, মাওলানাদের সাথে আলোচনা করে পরবর্তি করনীয় বিষয়ে সিধান্ত নেয়া হবে।

আমতলী কওমী মাদ্রাসার প্রতিষ্টাতা প্রিন্সিপাল মুফতি মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদী বলেন, ওই কবরের গর্তটি মাটি দিয়ে ডেকে দিলেই হবে। আর কোন কিছুই করার প্রয়োজন নেই।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শংকর প্রসাদ অধিকারী বলেন, চিকিৎসা শাস্ত্রে কবরে মরদেহ অখ্যাত থাকার কোন কারন আমার জানা নেই।

আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, ধর্মীয় বিধান মতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পরিবারকে বলা হয়েছে।