এম.এ হান্নানঃ
পটুয়াখালীর বাউফল হেলথ কেয়ার ডায়াগনিস্টিক সেন্টার এ্যান্ড ক্লিনিকের এক নারী কর্মী যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনায় এক ইউপি চেয়ারম্যানের নাম উঠে এসেছে। তাঁর এ.এন.এম জাহাঙ্গীর হোসেন। সে উপজেলা দাশপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান।
যৌন হয়রানির অভিযোগে ওই নারী (৩২) সোমবার (৮জুন) রাতে বাউফল থানা একটি মামলা ধায়ের করেন। মামলায় হেলথ কেয়ার ডায়াগনিস্টিক সেন্টার এ্যান্ড ক্লিনিকের এনেসথেসিয়ার চিকিৎসক ডাঃ মো. শাহ আলমকে প্রধান আসামী করা হয়। এছাড়াও ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মো. জলিলুর রহমান ও দাশপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান এ.এন.এম জাহাঙ্গীর হোসেনকে আসামী করা হয়।
পুলিশ মঙ্গলবার (৯জুন) দুপুরে পৌর শহরের পাবলিক মাঠ এলাকার জাহাঙ্গীর টাওয়ার থেকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওই নারী কর্মীর স্বামী আট মাস পূর্বে মারা যায়। চলতি বছরের এপ্রিলের ২৬তারিখ বাউফল হেলথ কেয়ার ডায়াগনিস্টিক এ্যান্ড ক্লিনিকে স্টাফ নার্স ও ফিজিও থেরাপিস্ট হিসবে যোগ দেয়। ওই ক্লিনিকের এনেসথেসিয়ার ডাঃ মো. শাহ আলমের কোমরে ব্যাথা থাকায় তাঁর চেম্বারে গিয়ে থেরাপি দিতেন ও নারী কর্মী। এসময় বিভিন্ন কু-প্রস্তাব দিতেন ডাঃ শাহ আলম। রাজী না হওয়ায় চাকুরি থেকে ছাটায়ের হুমকি দিতেন। বিষয়টি প্রতিষ্ঠান পরিচালককে জলিলকে জানালে সে ডাক্তারের কথা মত কাজ করতে বলেন। না হয় চাকুরি থেকে ছাটাই করা হবে বলে হুমকি দেয়।
ওই নারী চাকুরি হারানোর ভয়ে কাউকে কিছু বলেনি। মে মাসের ১৯তারিখ রাত আনুমানিক ১০টার দিকে ডা: শাহ আলম তাকে থেরাপি দিতে তাঁর চেম্বারে ডেকে নিয়ে ওই নারীর স্পর্শ কাতর স্থানে হাত দেয়। এবং তাঁর হাত টেনে নিয়ে পুরুষাঙ্গে দেয়। পরে ওই নারী হাত ছাড়াইয়া দৌড়ে পালিয়ে আসে।
এবিষয়ে মে মাসের ২৪তারিখ দাশপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান এ.এন.এম জাহাঙ্গীর হোসেন যৌন হয়রানির শিকার ওই নারী ও তার বাবাকে ডেকে নিয়ে ঘটনার বিষয়কে কাউকে কিছু বলতে নিষেধ করে এবং মিথ্যা মামলার হুমকি দেয়। এসময় চেয়ারম্যান জোর করিয়া অলিখিত সাদা স্ট্যাম্পে তাঁর, তাঁর বাবা ও ভাইয়ের স্বাক্ষার রাখে।
এদিকে ওই চিকিৎসক কর্তৃক নারী স্টাফকে (ফিজিশিয়ানকে) যৌন হয়রানীর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
এবিষয়ে দশপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা আতিকুর রহমান মোহেন বলেন, চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেনের নামে ব্যাপক নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে। সে ত্রাণ দেওয়ার নামে বিভিন্ন সময় নারীদের যৌন হয়রানি করেন। দাশপাড়া ইউনিয়নের জনগণ এই মেয়াদ উত্তির্ণ চেয়ারম্যানের কাছে জিম্মি।
এবিষয়ে মন্তব্য নেওয়ার জন্য দাশপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান এ.এন.এম জাহাঙ্গীর হোসেনের মুঠোফোনে কল করলে সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়।
Leave a Reply