আপন নিউজ রিপোর্টঃ
কলাপাড়ায় আদিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলা শ্রমিকলীগ নেতা মো.জুয়েল প্যাদা’র (৩৫) হাত কর্তন ঘটনায় মিজানুর রহমান (মিজু মাষ্টার) কে প্রধান আসামী করে ১৩ জনের বিরুদ্বে মামলা হয়েছে। পুলিশ ঘটনায় মো.বসির চৌকিদার (৫০) এবং সোহেল হাওলাদার (৩৮) নামে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে।
আহত জুয়েল প্যাদা মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি যাওয়ার পথে বুধবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের রজপাড়া গ্রামের হাওলাদার বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। আশংকাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। রাতেই ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহত জুয়েল প্যাদাার বাবা গোলাম ফারুক প্যাদা বাদী হয়ে মিজানুর রহমান (মিজু মাষ্টার), বসির চৌকিদার, সোহেল হাওলাদার, দেলোয়ার মৃধা, শিপন চৌকিদার ও ইদ্রিস প্যাদা সহ ১৩ জনকে আসামী করে কলাপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
কলাপাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নিজেদের দ্বন্দের কারনে এমন ঘটনা ঘটেছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ মশিউর রহমান শিমু জানান, জুয়েল প্যাদা বর্তমানে উপজেলা শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি ও তার বাবা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি। সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাই এবং হামলাকারী যে দলের হোক না কেন অনতি বিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি।
টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও কলাপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো.মাহমুদুল হাসান সুজন মোল্লা জানান, জুয়েল প্যাদা এক সময় যুবদলের কর্মী ছিলেন, বর্তমানে শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি। নিজেদের আত্মীয়-স্বজন সহ অনেকের সাথে বিরোধের কারনে এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এদিকে, স্থানীয়দের একটি সূত্র জানায়, জুয়েল প্যাদার নামে একাধিক মামলা রয়েছে। সে এর আগে সোহেল হাওলাদারকেও মারধর করেছিল।
কলাপাড়া হাসপাতালের চিকিৎসক ডা.মো.ইকবাল হোসেন জানান, জুয়েল প্যাদার বাম হাতের কবজি কেটে ফেলা হয়েছে। এছাড়া তার শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
Leave a Reply