মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০৩:৪২ পূর্বাহ্ন
আমতলী প্রতিনিধিঃ
বরগুনার তালতলী উপজেলার পশ্চিম গাবতলী গ্রামের মোঃ হারুন অর রশিদ মুন্সির দের একর জমির ধান জোরপূর্বক কেটে নিয়েছে লাঠিয়াল বাহিনী। এতে বাঁধা দিলে লাঠিয়াল বাহিনীর হামলায় দুই জন আহত হয়েছে। খবর পেয়ে তালতলী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে কিছুৃ ধান উদ্ধার করে স্থানীয় গ্রাম পুলিশের জিম্মায় রেখে দেয়। ঘটনা ঘটেছে বুধবার সকালে। এ ঘটনার মামলার প্রস্তুতি চলছে।
জানাগেছে, উপজেলার পশ্চিম গাবতলী গ্রামের মৃত্যু হাতেম আলী ৪ একর ২৫ শতাংশ জমি পৈত্রিক সুত্রে মালিক। ১৯৭০ সালে পর্যায়ক্রমে ওই জমি হাতেম আলী তার ভাই আবদুল গনি ও স্থানীয় জলিল ফরাজীর কাছে বিক্রি করে দেয়। আবদুল গনির মৃত্যুতে ওই জমির মালিক হন হারুন অর রশিদ মুন্সি। গত বছর হাতেম আলীর ছেলে শাহাজাহান ওই জমি তার দাবী করে হালচাষ শুরু করে। কিন্তু জমির মালিক হারুন অর রশিদ মুন্সির বাঁধার কারনে জমি চাষ করতে পারেনি শাহজাহান। এ নিয়ে ছোটবগী ইউপি চেয়ারম্যান তৌফিকুজ্জামান তনুর নেতৃত্বে কয়েক দফায় শালিস বৈঠক হয়। ওই শালিস বৈঠকে শাহজাহান জমি পায়নি। বুধবার শাহজাহানের নেতৃত্বে আব্দুল খালেক শরীফ, নজরুল বিশ্বাস, স্বপন আকন, শামীম গোলেন্দাজ ও নুরুল ইসলামসহ অর্ধ শতাধিক লাঠিয়াল বাহিনী এসে ওই জমির ধান কর্তন করে। এতে বাঁধা দিলে হাবিবুর রহমান ও সিদ্দিক ফরাজীকে লাঠিয়াল বাহিনী পিটিয়ে আহত করে। তাদের আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে তালতলী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে লাঠিয়াল বাহিনী পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ওই জমির কিছু ধান উদ্ধার কওে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ জয়দেব পাইকের জিম্মায় রেখে যায়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয় আউয়ূব আলী ফরাজী, মতিউর রহমান খান, আব্দুল ওহাব, মামুন মোল্লা, হাবিব মুন্সি ও পনু খাঁন বলেন, শাহজাহানের নেতৃত্বে আব্দুল খালেক শরীফ, নজরুল বিশ্বাস, স্বপন আকন, শামীম গোলেন্দাজ ও নুরুল ইসলামসহ অর্ধ শতাধিক লাঠিয়াল বাহিনী এসে জমির ধান কেটে নিয়ে গেছে। তারা আরো বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ আসলে লাঠিয়াল বাহিনী পালিয়ে যায়।
জমির মালিক মোঃ হারুন অর রশিদ মুন্সি বলেন, জোরপুর্বক শাহজাহান, আবদুল খালেক শরীফ ও শামীম গোলেন্দাজসহ অর্ধ শতাধিক লাঠিয়াল বাহিনী এসে আমার জমির ধান কেটে নিয়ে গেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
এ বিষয়ে শাহজাহানের ছেলে রুবেল বলেন, আমার বাবার পৈত্রিক সম্পত্তির ধান আমরা কর্তন করেছি।
আমতলী থানার ওসি মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে ধান উদ্ধার করে স্থানীয় গ্রাম পুলিশের জিম্মায় রেখে এসেছি। তিনি আরো বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply