বিশেষ প্রতিবেদকঃ
কুয়াকাটায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সিলভার ক্রাউন নামের একটি আবাসিক হোটেলে আটকে রেখে প্রেমিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় সোমবার (১১জানুয়ারী) রাতে ধর্ষিতা নিজে বাদী হয়ে মহিপুর থানায় ৩ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। রাতেই পুলিশ মামলার প্রধান আসামী লম্পট প্রেমিক রনি প্যাদা (২৪), সহযোগী মাইনুল (২০) ও হোটেল ম্যানেজার শহিদুল ইসলামকে আটক করেছে। পরে আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ১০ থেকে ১৫ দিন আগে দশমিনা উপজেলার রনি প্যাদার সাথে তালতলী উপজেলার শারিকখালি গ্রামের ওই যুবতীর সঙ্গে মুঠোফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সূত্র ধরে রনি প্যাদা ১০ জানুয়ারী ওই যুবতীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কুয়াকাটায় বেড়াতে নিয়ে আসে। এরপর স্বামী স্ত্রীর পরিচয়ে আবাসিক হোটেল সিলভার ক্রাউনের ২০৬ নম্বর কক্ষে ওঠেন তারা। পরে ওই হোটেলে যুবতীকে আটকে রেখে প্রথমে রনি প্যাদা ধর্ষণ করে। পর্যায়ক্রমে তার সাথে দশমিনা থেকে আসা মাইনুল ইসলাম তাকে গণধর্ষণ করে। এতে সহযোগিতা করে ওই হোটেলের ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম। পরে গতকাল ওই যুবতী কোন রকম ছাড়া পেয়ে তার পরিবারের সহায়তায় মহিপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মহিপুর থানার ওসি (তদন্ত) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো: মিজানুর রহমান বলেন, ভিকটিমকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আটককৃত তিনজনকে মঙ্গলবার সকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
Leave a Reply