অতিরিক্ত পণ্য কেনা থেকে বিরত থাকুন; দেশে পর্যাপ্ত খাদ্যশস্যের মজুদ আছে-প্রধানমন্ত্রী | আপন নিউজ

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৩ অপরাহ্ন

প্রধান সংবাদ
আমতলী সদর ইউপি নির্বাচনে শেষ সময়ে প্রচারনায় ব্যস্ত প্রার্থীরা; জরিপে এগিয়ে মোতাহার আমতলী একে স্কুল মহাসড়ক থেকে ৪৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কলাপাড়ায় দূর্যোগ সচেতনতা মূলক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত কলাপাড়ায় ট্রাক কেনার কথা বলে আপন ভাতিজীর টাকা নিয়ে উধাও আপন চাচা জমে উঠেছে আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন; তিন প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস আমতলীতে ডায়েরীয়ার প্রকোপ, স্যালাইন সংঙ্কট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৬ জনের বেডে ৩১ জনের চিকিৎসা! কলাপাড়ায় ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক কে পি’টি’য়ে জ’খ’ম করার অভিযোগ গলাচিপায় ডায়রিয়ার প্রকোপ, শিশুর মৃ’ত্যু কলাপাড়ায় জমিসংক্রান্ত বিষয় সালিশি বৈঠক শেষে হামলা; তিনজনকে কু’পি’য়ে জ’খ’ম কলাপাড়ায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে মা-ছেলে ও ছেলের বউকে পি’টি’য়ে জ’খ’ম করার অভিযোগ
অতিরিক্ত পণ্য কেনা থেকে বিরত থাকুন; দেশে পর্যাপ্ত খাদ্যশস্যের মজুদ আছে-প্রধানমন্ত্রী

অতিরিক্ত পণ্য কেনা থেকে বিরত থাকুন; দেশে পর্যাপ্ত খাদ্যশস্যের মজুদ আছে-প্রধানমন্ত্রী

বাসসঃ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণকে আতঙ্কিত হয়ে অতিরিক্ত পণ্য কেনা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘দেশে পর্যাপ্ত খাদ্যশস্যের মজুদ রয়েছে। অযথা আতঙ্কিত হয়ে বেশি করে পণ্য কিনে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানো গর্হিত কাজ। সবাইকে এই ধরনের অপতৎপরতা থেকে বিরত থাকতে হবে।’

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের সুযোগ নিয়ে কেউ যেন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুদ করতে না পারে সেদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং জনগণকে নজরদারি বাড়াতে হবে।

শনিবার ঢাকা-১০ আসনে জাতীয় সংসদ উপনির্বাচনে ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্র ভোট প্রদানের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা পর্যবেক্ষণ করছি যে, আতঙ্কিত হয়ে কিছু লোক অতিরিক্ত মাত্রায় খাদ্যদ্রব্য কিনে সংরক্ষণ করছে। তবে আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই যে, আমাদের কোনো খাদ্য সমস্যা নেই। আমাদের পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। তাই আতঙ্কিত হয়ে অতিরিক্ত খাদ্যদ্রব্য কেনার দরকার নেই।’

তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে অর্থমন্ত্রী, অর্থসচিব এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক করেছি। আমাদের যে রিজার্ভ রয়েছে তা দিয়ে আগামী এক বছরের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য কেনার সক্ষমতা আমাদের রয়েছে। সুতরাং এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি গুদামগুলোতে সাড়ে তিন লাখ মেট্রিক টন গম ছাড়াও ১৭ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। এর পাশাপাশি, বেসরকারি রাইস মিলগুলোতে প্রচুর পরিমাণে খাদ্যশস্য রয়েছে। তাই, আমি সবাইকে যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকু খাদ্যদ্রব্য কিনতে অনুরোধ জানাই।’

তিনি বলেন, ‘ভোক্তারা অতিরিক্ত নিত্যপণ্য কিনলে বাজারে চাপ সৃষ্টি হয়। এর ফলে প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যায়। যাদের পর্যাপ্ত অর্থ আছে তারা একসঙ্গে অনেক পণ্য কিনতে পারেন। কিন্তু সাধারণ ও সীমিত আয়ের মানুষদের একসঙ্গে এত পণ্য কেনার মতো সামর্থ্য নেই। কাজেই অন্যের কষ্ট বাড়ানোর কোনো অধিকার কারো নেই।’

একটি উদাহরণ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি টেলিভিশনে দেখলাম যে একজন বলছেন, তিনি ৩০ কেজি লবণ কিনেছেন। আমি জানি না তিনি এই লবণ কতদিনে খাবেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এর আগে অনেকেই বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ কিনেছিল। তখন এর দাম বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু পেঁয়াজ পচনশীল হওয়ায় সেগুলো তাদের আবর্জনার স্তূপে ফেলতে হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের পাশাপাশি জনগণকেও সতর্ক থাকতে হবে যাতে করে কেউ করোনা প্রাদুর্ভাবের অজুহাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মজুদ করতে না পারে। অতিরিক্ত পণ্য কিনে বাজারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা ঠিক হবে না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা চাই সবাই স্বাভাবিক জীবনযাপন করুক। আমরা বাংলাদেশের নাগরিক। আমাদের মাটি আছে, আমাদের সব আছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশকে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত রাখতে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। চীনে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পরার পরপরই আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা তখন চীন থেকে ৩১৫ জন শিক্ষার্থীকে দেশে ফিরিয়ে আনি এবং কোয়ারেন্টাইনে ১৪ দিন রাখার পর তাদের ছেড়ে দেই।’

তিনি বলেন, ‘বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরগুলোতে বিদেশ থেকে আগতদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। যদি কাউকে এই ভাইরাসে সংক্রমণ বলে সন্দেহ করা হয়, তবে তাকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হচ্ছে।’

এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা বিদেশ থেকে দেশে ফিরছেন তাদেরকে তাদের পরিবারের সদস্য ও অন্যদের নিরাপত্তার জন্য অবশ্যই অন্তত ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য বিভাগ ও আইইডিসিআর সতর্ক আছে এবং দেশে প্রাণঘাতী ভাইরাসটিকে নিয়ে পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা এই সব পদক্ষেপ নিচ্ছি যাতে মানুষ সতর্ক থাকে এবং এ ক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি যে, বাংলাদেশের পরিস্থিতি বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় অপেক্ষাকৃত ভালো।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘সরকার করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগীদের জন্য বেশ কয়েকটি বিশেষায়িত হাসপাতাল করেছে। আমরা চিকিৎসক ও নার্সসহ হাসপাতালগুলোতে কর্মরত অন্যদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করেছি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা চিকিৎসক ও নার্সদের মাস্ক এবং পার্সনাল প্রোটেক্টিভ ইকুয়েপমেন্ট (পিপিই) আমদানি ও তৈরি করছি। সরকার টেলিভিশন, বেতার ও অন্যান্য গণমাধ্যমে প্রাণঘাতী ভাইরাস সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করতে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘সরকার জনগণকে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস থেকে রক্ষা করতে এক স্থানে কয়েকজনের সমাগমকে নিষিদ্ধ করেছে। আমি আশা করি দেশবাসী সরকারের নির্দেশনা মেনে চলবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনেক অনুষ্ঠান বাতিল করেছি এবং এর মধ্যদিয়ে আপনারা বুঝতেই পারছেন যে, আমরা জনগণের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যের প্রতি কতটা গুরুত্ব দিচ্ছি।’

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com

Design By JPHostBD
error: সাইটের কোন তথ্য কপি করা নিষেধ!!