আমতলীতে অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থীর তিন দিন ধরে বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ | আপন নিউজ

রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৮:৪১ অপরাহ্ন

প্রধান সংবাদ
কলাপাড়ায় গরুতে ঘাস খাওয়া নিয়ে দ্বন্দ্ব; দুজনকে কু’পি’য়ে জ’খ’ম করার অভিযোগ। কলাপাড়ায় প্রান্তিক কৃষকের মাঝে রাসায়নিক সার ও বীজ বিতরণ আমতলীতে হতদরিদ্র পেল উপহারের ঘর কলাপাড়ায় তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও স্যালাইন বিতরণ কলাপাড়ায় পানিতে ডুবে দুই শি’শু’র মৃ’ত্যু ’উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে ভয় ভীতিহীন, স্বচ্ছ ও উৎসবমুখর নির্বাচন’ -দুর্যোগ ও ত্রান প্রতিমন্ত্রী কলাপাড়ায় মাছ লু’টে বা-ধা: দূর্বৃত্তদের হা’ম’লা’য় ঘের মালিকের ছেলে গু’রু’তর জ’খ’ম আমতলীতে সাংসদের উদ্যোগে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে খাবার স্যালাইন ও সুপেয় পানি বিতরন আমতলীতে রাজহাঁস নিয়ে দুই পক্ষের সং’ঘ’র্ষে আ’হ’ত-৯ মানুষের কৃতকর্মে বিষাক্ত হয়ে উঠছে পৃথিবী
আমতলীতে অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থীর তিন দিন ধরে বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ

আমতলীতে অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থীর তিন দিন ধরে বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ

আমতলী প্রতিনিধিঃ
বরগুনার আমতলী উপজেলার দক্ষিণ খাকদান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার চাঁদা না দেয়ায় গত তিন দিন ধরে বিদ্যালয় যাওয়া বন্ধ রয়েছে। চাঁদা না দেয়ার প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন মন্টু বিদ্যালয় যেতে নিষেধ করেছেন এমন অভিযোগ বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের।
জানাগেছে, উপজেলার দক্ষিণ খাকদান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারী বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। ওই প্রতিযোগিতায় প্রত্যেক শিক্ষার্থী প্রতি ২’শ ৫০ টাকা করে চাঁদা ধরেন প্রধান শিক্ষক। গরিব অসহায় পরিবারগুলো এতো টাকা চাঁদা দিতে অপারগ। এ চাঁদার টাকা দিতে রাজি না হওয়াতে প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন মন্টু শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় যেতে নিষেধ করেছে। এতে গত তিন দিন (শনিবার-সোমবার) ধরে অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী যাচ্ছে না। অভিভাবকদের অভিযোগ প্রধান শিক্ষক খামখেয়ালীপনা করে শিক্ষার্থীদের বেশী চাঁদা ধরেছেন। তারা আরো অভিযোগ করেন, এ টাকা দিতে আমরা অস্বীকার করলে প্রধান শিক্ষক উপ-বৃত্তি বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়ে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসতে নিষেধ করেন। শিক্ষার্থী রেজাউল , জুই আক্তার, সাব্বির, রাব্বি, স্বপন, রিয়ামনি, মীম, সিয়াম হোসেন, ফরিদ ও মারিয়া জানান, বৃহস্পতিবার টাকা নিয়ে বিদ্যালয়ে যাইনি তাই প্রধান শিক্ষক আমাদের বিদ্যালয়ে যেতে নিষেধ করেছেন। এ জন্য আমরা বিদ্যালয়ে যাইনি। তারা আরো জানান, এভাবে অন্তত ৫০ জন শিক্ষার্থী তিন দিন ধরে বিদ্যালয়ে যান না।
অভিভাবক নাশির প্যাদা ও আউয়াল বলেন, প্রত্যেক ছাত্র প্রতি প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন ২’শ ৫০ টাকা করে চাঁদা ধরেছেন। আমরা গরীব মানুষ এতো টাকা দেয়া সম্ভব নয়। এই টাকা না দেয়ায় প্রধান শিক্ষক আমাদের বাচ্চাকে বিদ্যালয়ে যেতে নিষেধ করেছে। তাই আমরা বাচ্চাদের বিদ্যালয়ে যেতে দেয়নি। তারা আরো বলেন, প্রধান শিক্ষক চাদার টাকা না দিলে উপ-বৃত্তি বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন। আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানাই।
অভিভাবক শাহাজাহান বয়াতি, মাহাবুব সরকার ও শাহাবুদ্দিন হাওলাদার বলেন, প্রধান শিক্ষকের খামখেয়ালীপনার কারনে বিদ্যালয়টি ধংস হচ্ছে। কোন অভিভাবকের মতামত ছাড়াই প্রধান শিক্ষক বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতার জন্য ২’শ ৫০ টাকা চাঁদা ধরেছেন। যা আমাদের মত পরিবারের দেয়া খুবই কষ্টকর। এই টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় যেতে নিষেধ করেছেন।
বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মোঃ আনোয়ার হোসেন মন্টু চাঁদা না নিয়ে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসতে নিষেধের কথা অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তাদের খুশিমত চাঁদা দিতে বলেছি মাত্র। আমতলী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ মজিবুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি জানিনা। খোজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com

Design By JPHostBD
error: সাইটের কোন তথ্য কপি করা নিষেধ!!