বিশেষ প্রতিবেদকঃ

ঢাকায় আটদিন মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ করে মারা গেছে কলাপাড়ায় সন্ত্রাসী হামলায় আহত বাম হাতের কব্জি হারানো উপজেলা শ্রমিকলীগের সহ সভাপতি জুয়েল প্যাদা (৩৫)।

বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) বেলা ১১টায় ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে (সাবেক আয়শা মেডিকেল হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় জুয়েল মারা যায়। বিষয়টি নিস্চিত করেছে নিহতের ভাই ইউপি সদস্য খোকন প্যাদা ও কলাপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. আসাদুর রহমান।

গত ৪ নভেম্বর রাতে কলাপাড়া পৌর শহর থেকে দলীয় কার্যক্রম শেষে মোটরসাইকেলে করে বাসায় ফেরার পথে টিয়াখালী ইউনিয়নের রজপাড়া এলাকায় একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী জুয়েলের উপর হামলা চালায়। এসময় সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে জখম করে আহত করে বাম হাতের কব্জি কেটে নিয়ে যায়।

ওই রাতেই স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করে। কিন্তু তার অবস্থার অবনতি ঘটলে রাতেই বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেলে রেফার করা হয়।

পরদিন ৫ নভেম্বর বরিশাল মেডিকেল থেকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে অবস্থার আরও অবনতি ঘটলে গত ১০ নভেম্বর ইউনিভার্সেল হাসপাতালে ( সাবেক আয়শা মেডিকেলে) রেফার করা হয় এবং আইসিউতে স্থানান্তর ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় জুয়েল মারা যায়।

কলাপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) আসাদুর রহমান মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জুয়েলের উপর হামলার ঘটনায় গত  ৫ নভেম্বর মিজানুর রহমান মিজু মাস্টারকে প্রধান আসামী করে ১৩ বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করে জুয়েলের পিতা গোলাম ফারুক প্যাদা। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ জানায়।

এ মামলার দুই ও তিন আসামী বসির চৌকিদার ও সোহেল হাওলাদারকে ওই রাতেই দেশীয় অস্ত্রসহ পুলিশ গ্রেপ্তার করে। যারা ইতিমধ্যে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করে। মামলার অন্য আসামীদেরও গ্রেপ্তারের চেস্টা চলছে বলে পুলিশ কর্মকর্তা জানান।