আপন নিউজ ডেস্কঃ
কলাপাড়ায় নারী ইউপি সদস্যকে ’দুঃশ্চরিত্র’ মন্তব্যকারী ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল সালাম সিকদার কারাগারে।
২০২০ সালের ৫ নভেম্বর বিজ্ঞ কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারক শোভন শাহরিয়ার’র কর্তৃক রায়ে এক বছর দুই মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামী উপজেলার ডাবলুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ: সালাম সিকদার রোববার (১৫ নভেম্বর) পটুয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ বিচারক মোঃ জামাল হোসেন জামিন না মঞ্জুর করে তাকে পটুয়াখালীর কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, উপজেলার ডাবলুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ: সালাম সিকদার জমিজমা বিরোধের জেরধরে কলাপাড়া প্রেসক্লাবে সাংবাদ সম্মেলন করে সংরক্ষিত ইউপি মেম্বর মোসাঃ শাহানারা বেগমকে দুশ্চরিত্র বলে আখ্যায়িত করে। এতে ইউপির সংরক্ষিত নারী সদস্য মোসাঃ শাহানারা বেগম ৮এপ্রিল-২০১৯ ইউপি চেয়ারম্যান আঃ সালাম সিকদারের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ৫০ লক্ষ টাকা মানহানির অভিযোগ সহ ন্যায় বিচার চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন।
বিজ্ঞ আদালত বাদীর প্রদত্ত জবানবন্দিতে সন্তুষ্ট হয়ে বিজ্ঞ বিচারক মামলার অভিযোগের বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের আদেশ দেন। এরপর বিচার বিভাগীয় তদন্তে মামলার বর্নিত অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় ডালবুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আঃ সালাম সিকদার’র বিরুদ্ধে সমন জারী করেন আদালত। পরবর্তীতে আদালতের অনুকম্পায় চেয়ারম্যান জামিন পেলেও তার বিরুদ্ধে দঃবিঃ ৫০০ ধারায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলায় স্থানীয় তিন জন সাংবাদিকসহ মোট ৫জনের স্বাক্ষ্য গ্রহন করেন।
গত ৫ নভেম্বর-২০২০ বিজ্ঞ কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারক শোভন শাহরিয়ার’ ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১৪ মাস বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন। এ সময় আসামী ডাবলুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আঃ সালাম সিকদার পলাতক ছিলেন।
রবিবার দুপুরে আসামী ইউপি চেয়ারম্যান আঃ সালাম সিকদার স্বেচ্ছায় পটুয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ বিচারক তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।
Leave a Reply