কলাপাড়ায় চাঁদার টাকা না দেয়ায় বিসমিল্লাহ ব্রিকফিল্ডের মালিক ও বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ শাহ আলম হাওলাদার (৬৪) কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় রবিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে টিয়াখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা সৈয়দ মশিউর রহমান শিমু ও তার স্ত্রী খাদিজা আক্তার এলিজাসহ পাঁচজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আহত মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী আকলিমা বেগম বাদী হয়ে মশিউর রহমানকে প্রধান আসামি করে রাতেই একটি মামলা করেন। রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় চাকামইয়া ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের বিসমিল্লাহ ব্রিক ফিল্ডের কার্যালয় মুক্তিযোদ্ধা শাহআলম হাওলাদারের ওপর বর্বর এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়রা রক্তাক্ত জখম অবস্থায় মুক্তিযোদ্ধা বৃদ্ধ শাহআলমকে শঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে আমতলী হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সন্ত্রাসী হামলার শিকার মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মোঃ সিদ্দিকুর রহমান জানান, আমার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্থানীয় শিমু বাহিনীর সন্ত্রাসীরা তার বাবার কাছে চাঁদা চেয়েছিল। চাঁদার টাকা না দেয়ায় স্থানীয় জহিরুল, সবুজ, খলিল, রুবেলসহ ১৫-২০ সশস্ত্র সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্রের উপর্যুপরি কোপে জখম করা হয়েছে। আহত মুক্তিযোদ্ধা শাহআলমের বাড়ি চাকামইয়া ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামে।
কলাপাড়া থানার ওসি খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, খবর শোনার পর থেকে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। রাতেই পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে। অপরদিকে চাকামইয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ুন কবির কেরামত হাওলাদার দাবি করেন, এই ভাইয়া বাহিনী শান্ত চাকামইয়া ইউনিয়নকে অশান্ত করে দিয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন শিমুর স্ত্রী বিএনপি নেত্রী এলিজার রয়েছে নিজস্ব আরও একাধিক সন্ত্রাসী বাহিনী। পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারণে এলাকায় স্বস্তি নেমে এসেছে। অপরদিকে মশিউর রহমান শিমুর মুক্তির দাবিতে তার অনুসারিরা সোমবার সকালে কলাপাড়া পৌরশহরে মিছিল করেছে।
Leave a Reply