চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও সেবনে জড়িয়ে পড়েছে কলাপাড়ার ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা । একারনে দিন দিন ইমেজ সংকটে ভুগছে সরকার দলীয় এ অংগ সংগঠনটি। পুলিশের অভিযানে একের পর এক গ্রেফতার হচ্ছে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। এ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা দামী মোটর সাইকেলে দাবিয়ে বেড়ায় গোটা উপজেলা। এমনকি মোটর সাইকেলের মহরায় অতিষ্ট হয়ে উঠেছে কলাপাড়া পৌর শহরের মানুষ। কলাপাড়া পৌর শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে সন্ধ্যার পরপরই থাবা পার্টির উৎপাতে সন্ধ্যার পড়ে বাড়ির সামনের রাস্তায় পর্যন্ত নামা বন্ধ করে দিয়েছে মহিলারা। অতিসম্পতি পুলিশ সন্ধ্যায় কলেজ এর পিছনের সড়ক থেকে উঠতি বয়সী একদল যুবককে আটক করে অভিভাবকদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। এসব উঠতি বয়সের যুবকরা মোটর সাইকেল নিয়ে রাস্তায় চলাচলের সময় একাকী কোন নারীকে দেখলে থাবা বসিয়ে দেয়। গত একমাসে থাবা পার্টির কবলে অন্তত ১৫/২০ নারী পড়েছে। কিন্তুু এরা কেউই আইনের আশ্রয় নেয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নারী জানান, সামজিকতা ও লোক লজ্জার ভয়ে কেউ তারা আইনের আশ্রয় যায় না। গত ২ ডিসেম্বর মহিপুর থানা পুলিশ কলাপাড়া-কুয়াকাটা সড়কের হাজিপুর টোল পয়েন্ট এলাকা থেকে কলাপাড়া পৌর ছাত্রলীগ সাধারন সম্পাদক জুয়েল রানাকে ১৩ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছে। এর প্রায় ৪০ দিন আগে চাঁদাবাজি মামলায় সঙ্গী সহ গ্রেফতার হয়েছিল। একই দিন কলাপাড়ার আলীপুর-আমখোলা সড়ক থেকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রয় অধিদপ্তরের লোকজন দুই লিটার চোলাই মদ ও একটি টিভিএস মোটর সাইকেলসহ গ্রেফতার করেছে কলাপাড়া উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়ামিন ইসলাম মুন্না ও ছাত্রলীগ নেতা শাকিল রানাকে। এঘটনায় পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর পৃথক দুটি মামলা করেছে। মামলায় উল্লেখ রয়েছে এরা মাদক ব্যবসা ও সেবনের সাথে জড়িত। বর্তমানে তিন নেতাই করাগারে রয়েছে। এব্যপারে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো: হাসান শিকদার জানান, কলাপাড়া পৌর ছাত্রলীগ সাধারন সম্পাদক জুয়েল রানা’র ব্যপারে কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের সাথে ইতিমধ্যে কথা বলেছেন। তাদের নির্দেশেই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply