আপন নিউজ রিপোর্টঃ
পটুয়াখালীর কলাপাড়ার চাকামইয়া ইউনিয়নের শাহআলমের উপর সন্ত্রাসী হামলা ও হাত-পা ভেঙ্গে দেয়ার ঘটনায় মামলা করে বিপাকে পড়েছে তার পরিবার এমনটি-ই দাবী করে সংবাদ সম্মেলন করায় পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। নিজেদের নির্দোষ দাবি করে রবিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকালে কলাপাড়া সাংবাদিক ফোরামে এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মো: জাকারিয়া হাওলাদার (আবির) তার লিখিত ব্যক্তব্য বলেন, গত ০৫-১২-২০২০, উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের আ: বারেক হাওলাদারের ছেলে মো: ছগির হোসাইন একটি সংবাদ সম্মেলন করে আমিসহ চাকামইয়া এবং টিয়াখালী ইউনিয়নের কতিপয় শান্তিপ্রিয় নীরিহ মানুষকে জড়িয়ে মিথ্যা, বানোয়াট, মনগড়া, ভিত্তিহীন বক্তব্য রেখেছেন। যা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে মো: ছগির হোসেন বলেন যে, ১ আমি মো: আবির, ২ মো: রাসেল, ৩ শাহ মো: নুরুল্লাহ, ৪ মো: আরিফ, ৫ মো: জুলহাস মোল্লা ও ৬ মো: মাইনুল ইসলামের নাম উল্লেখ করে, অভিযোগ করেন যে, আমরা নাকি আরও ২০/২৬ জন সন্ত্রাসীসহ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে মামলায় উল্লেখিত মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলমের বাড়ীতে এবং মেসার্স বিসমিল্লাহ ব্রিকস ফিল্ডে হামলা চালিয়ে তাঁর ফুফু আকলিমা বেগমসহ তাদেরকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়েছি। যা সম্পুর্নভাবে মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, চাকামইয়া ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামে অবস্থিত জনৈক তরিকুল ইসলামের মালিকানাধীন মিসমিল্লাহ ব্রিকস ফিল্ড নামের একটি ইটের ভাটা (যা পরিবেশ অধিদফতর থেকে গত ০৬/০২/২০১৯ তারিখ অবৈধ ঘোষনা করা হয়) অবৈধভাবে দখলকরে ভোগদখল র্নিবিঘœ করতে গত ২৯ নভেম্বর একটি সাজানো ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলাপাড়া থানায় একটি মিথ্যা মামলা হয়। যা মামলা নং ২৮/২০২০। ওই মামলায় টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের অত্যন্ত জনপ্রিয় চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের নেতা সৈয়দ মশিউর রহমান শিমু ও তাঁর স্ত্রী সাবেক ইউপি সদস্যা খাদিজা আক্তার এলিজাসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। আমি এবং উল্লেখিত ব্যক্তিবর্গ উক্ত ঘটনার সাথে আদৌ কোনভাবে জড়িত নই এবং কখনও কোন প্রকার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বা কোন প্রকার হুমকি বা মামলা তুলে নিতে চাপ দেয়ার কোন ঘটনার সাথে জড়িত নই বা ছিলাম না। আমরা এলাকার শান্তি প্রিয় নীরিহ মানুষ। তিনি আরও বলেন, সংবাদ সম্মেলনকারী কেন বা কি উদ্দেশ্যে আমাদের কে জড়িয়ে এ হেন মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমাদেরকে সামাজিকভাবে হেয়-প্রতিপন্ন করছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। আমার পিতা ক্বারী মো: রুহুল আমিন দারোগারতবক বায়তুল মামুর জামে মসজিদের ঈমাম এবং উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের বাংলাদেশ জমিয়তে হেযবুল্লাহ‘র তালিম দাতা। তাকেও উক্ত মিথ্যা মামলার ১১ নং আসামী করা হয়েছে। এবং অপর একটি মিথ্যা মামলার ১০ নং আসামী করা হয়। মামলা নং ০৪/২৪৭। সংবাদ সম্মেলনকারীগণ এলাকার প্রভাবশালী। এলাকার নীরিহ মানুষের জমাজমি, ইটের ভাটা প্রভৃতি দখল করা তাদের নেশা ও পেশা। তাদের এই অবৈধ কার্যক্রমে যাহাতে কেহ প্রতিবাদ করার সাহস না পায় সে জন্য পরিকল্পিতভাবে উক্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে মানুষের মাঝে ভীতি ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছে। আমরা কাক্কু বাহিনীর হয়রানী থেকে মুক্তি পাইতে পারি তার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা যুবলীগ নেতা রতন হাওলাদার, কলাপাড়া উপজেলা যুবলীগের সহ সম্পাদক মো. রাকিবুল ইসলাম রকি, সাবেক ছাত্রনেতা মো. জনি সরদার, টিয়াখালী ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা নাজমুল সিকদার, ছাত্রলীগ নেতা মামুন বিল্লাহ, মাইনুর প্যাদা, চাকামইয়া ছাত্রলীগ নেতা আরিফ প্রমূখ।
Leave a Reply