কলাপাড়ার মহিপুরে বন বিভাগের জায়গা দখল করে নির্মাণ হচ্ছে পাকা স্থাপনা | আপন নিউজ

মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ১২:৩২ পূর্বাহ্ন

প্রধান সংবাদ
গলাচিপায় বিটিএফ স্কুলের শতভাগ বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের এমপির সংবর্ধনা গলাচিপায় কালবৈশাখী আতঙ্কে তরমুজ চাষিরা তালতলীতে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ঘর-জমি পাচ্ছেন ৩০ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন বামনা উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা বুধবার কলাপাড়া আইনজীবী কল্যাণ সমিতির নাথুরাম সভাপতি, আনোয়ার সম্পাদক নির্বাচিত গলাচিপায় অবশেষে বিয়ে করলেন আরিফ-মারিয়া গলাচিপায় আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় জমিসহ গৃহ উদ্বোধন বিষয়ে ইউএনও’র প্রেস ব্রিফিং এসো মিলি ইতিহাসের আঙিনায় স্মৃতিমন্থনে জেলার শ্রেষ্ঠ থানা মহিপুর, শ্রেষ্ঠ ওসি আবুল খায়ের গলাচিপায় ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি বিষয়ে গনসচেতনতা মূলক মাঠ মহড়া
কলাপাড়ার মহিপুরে বন বিভাগের জায়গা দখল করে নির্মাণ হচ্ছে পাকা স্থাপনা

কলাপাড়ার মহিপুরে বন বিভাগের জায়গা দখল করে নির্মাণ হচ্ছে পাকা স্থাপনা

বিশেষ প্রতিবেদকঃ

কলাপাড়ার মহিপুরে বন বিভাগের জায়গা দখল করে নির্মাণ করা হচ্ছে পাকা স্থাপনা। ইতিমধ্যে আরসিসি পিলার ঢালাই সম্পন্ন করা হয়েছে মেসার্স এ আর ফিসের মাছের আড়তের। সরকারি এ সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য মহিপুর রেঞ্জের বিট কর্মকর্তা মহিপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি ও জেলা বন কর্মকর্তা বিভাগীর বন কর্মকর্তার বরাবর লিখিত আবেদন করলেও বন বিভাগের জায়গায় পাকা স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত রয়েছে। যদিও দখলদার রাসেল আকনের দাবি তিনি এ জমি ডিসিআর নিয়েছেন।
বন বিভাগের দাবি, কলাপাড়ার মহিপুর রেঞ্জের কুয়াকাটা বিট অফিসের আওতাধীন হাল-জেএল নং-৫৫ শিববাড়িয়া মৌজার বিএস খতিয়ান নং-০৪, বিএস ৪০৪৪ নং দাগের ১৬ শতাংশ জমি অবৈধভাবে দখল করে মো. রাসেল আকন, মোসাঃ রাহিমা, মনিরা বেগম ও সোহাগ আকন দখল করে মাছের আড়ত ও চায়ের দোকান নির্মাণ করে। বর্তমানে এ আর ফিসের মালিক ওই দখল করা জায়গায় আরসিসি ঢালাই দিয়ে পাকা স্থাপনা নির্মাণ শুরু করেছে। মহিপুর বন বিভাগের কর্মীরা জমি দখলে বাঁধা প্রদান করলে তাদের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শণ করা হয় বলে মহিপুর থানায় দায়ের জিডিতে মহিপুর রেঞ্জের বিট কর্মকর্তা আবুল কালাম মো. ইছা উল্লেখ করেন।
মহিপুর রেঞ্জের বিট কর্মকর্তা আবুল কালাম মো. ইছা বলেন, গত ৩০ সেপ্টেম্বর বন বিভাগের ১৬ শতক জায়গা দখল মুক্ত করতে দখলদারদের নোটিশ করা হয়েছে। কিন্তু দখলদাররা অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়নি। এমনকি নির্মাণাধীন বাউন্ডারির মধ্যে এখন নদীর তীর ঘেষে পাকা স্থাপনা নির্মান শুরু করেছে রাসেল আকন। এ দখলের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও জেলা বন কর্মকর্তাকে অবহিত করেছেন।
স্থানীয়দের দাবি, এর আগেও সরকারি সম্পত্তি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। বন বিভাগের জমি এখন সমন্বিতভাবে দখল উচ্ছেদের ব্যবস্থা না নিলে এভাবেই দখল হতে থাকবে সরকারি সম্পত্তি। কেননা বন বিভাগের একার পক্ষে এ জমি উদ্ধার করা সম্ভব না।
এ ব্যাপারে এ আর ফিসের মালিক রাসেল আকন জানান, তিনি এ জমি ডিসিআর নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করছেন। আমার ডিসিআর নেয়া জমিতে আমি স্থাপনা নির্মান করছি। এখন বন বিভাগ ওই জমি তাদের দাবি করছে।
কলাপাড়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) জগৎবন্ধু মন্ডল জানান, ও জমি ভূমি প্রশাসন নাকি বন বিভাগের সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.




© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com

Design By MrHostBD
error: সাইটের কোন তথ্য কপি করা নিষেধ!!