
পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে গভীর বঙ্গোপসাগরে সৃস্ট লঘুচাপে শীতের সাথে অকাল বৃস্টিপাতের ফলে পটুয়াখালীসহ উপক’লীয় অঞ্চলে জন-জীবন হয়ে পরেছে বিপর্যস্ত। শুক্রবার ভোর থেকে শুরু হওয়া হালকা থেকে ভারী বৃস্টিপাতে ব্যাহত হচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বৃস্টিপাতের সাথে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় হয়ে পরেছে মানুষ গৃহবন্ধী। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে কর্মজীবি, গরীব, দরিদ্র, ছিন্নমুল মানুষসহ শিশু ও বয়স্ক মানুষ। জমিতে থাকা ধানসহ উঠোনের ধান নস্ট হওয়ার শংকায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে কৃষক। সদ্য রোপিত ডাল, মরিচ, তরমুজের শষ্যক্ষেত নস্টসহ ক্ষতির চিন্তায় ব্যাকুল হয়ে পরেছে কয়েক’শ রবিশষ্য চাষীরা। এদিকে পৌষের মাঝামাঝির অকাল বৃস্টিতে জেলার অধিকাংশ ইটভাটার কাঁচা ইট নস্ট হয়ে গেছে। মৌসুমের শুরুতেই বৃস্টির পানি জমে প্রায় দশ কোটি টাকা মূল্যের কাঁচা ইট সম্পূর্ণ নস্ট হয়ে যাওয়ায় কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছে ইটভাটার মালিকরা।
সাগর ব্রিকস’র মালিক শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস জানায়, ইট তৈরীর প্রথম মৌসুমে প্রতিটি ইটভাটায় শত শত শ্রমিক দিন-রাত একটানা শ্রম দিয়ে ইট প্রস্তুত করে। প্রস্তুত করা ইট রোদে শুকিয়ে চুল্লিতে দেয়ার আগ মূহুর্তে ভাড়ি বর্ষনে পুরোপুরি নস্ট হয়ে গেছে। ইটভাটার মালিকদের বর্তমান অবস্থা এমন হয়েছে যে, আর্থিক লোকসান কাটিয়ে ওঠার সামর্থও নাই, সামাজি অবস্থানের কারনে আর্থিক সহায়তা পাওয়ারও কোন উপায় নেই। শুধু লোকসানের ভাবনায় তিলে তিলে নিজেদের বিপর্যস্ত করা ছাড়া করার কিছুই থাকছেনা ইটভাটা মালিকদের।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী শুক্রবার বিকাল তিনটা থেকে শনিবার বেলা ১২টা পর্যন্ত পটুয়াখালী জেলায় ৩১মিলিমিটার বৃস্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার বেলা বারটায় জেলার সর্বনিম্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ ডিগ্রিী সেলসিয়াস। উপক’লীয় এ অঞ্চলে বরিবারেও এমন আবহাওয়া বিরাজ করবে বলে ধারনা করছে আবহাওয়া অফিস।
Leave a Reply