রবিবার, ০২ এপ্রিল ২০২৩, ০১:৪৭ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়া-এর কাজ কি? বসে বসে সরকারি বেতন খাবে আর ঘুমাবে! অথচ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সম্পত্তি বেদখল হচ্ছে। দেখার যেন কেউ নেই।
কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড-এর কাছে অভিযোগ করা সত্ত্বেও কোনো সুফল পাচ্ছে না ভুক্তভোগীরা।
কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামে রাতের আঁধারে ভেকু মেশিন দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিতে মাটি কেটে ঘের নির্মাণ করেছে স্থানীয় ভূমিদস্যুরা।
ওই মাটি পাশের আঃ লতিফ শিকদারের রেকর্ডীয় জমিতে ফেলে ভূমিদস্যুরা ওই জমিও তাদের দখলে নেয়।
দখলকৃত রেকর্ডীয় জমি ফিরে পেতে আব্দুল লতিফ শিকদার প্রথমে কলাপাড়া থানায় অভিযোগ দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়। এতেও বন্ধ না হওয়ায় কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও পাউবো এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করায় আঃ লতিফ শিকদার ও তার ভাই নূরুল ইসলাম শিকদারকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে তারা। এতে তাদের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে।
গত ২১ এপ্রিল বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়া নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর ভুক্তভোগীরা যে অভিযোগ দেন তা হুবহু তুলে ধরা হলো, ‘কলাপাড়া উপজেলার ৪৬/১ পােল্ডারের জালালপুর গ্রামের ঝুঁকিপূর্ণ বেরিবাধ সংলগ্ন স্থান থেকে ভেকু দিয়ে মাটি কাটা বন্ধ করা দরখাস্তকারী- আবদুল লতিফ সিকদার, পিং মৃত মাে মফেজ সিকদার, সাং- জালালপুর, ডাকঘর- হাজিপুর। বিবাদী মােঃ আল আমিন খান, পিং মৃত- আঃ বারেক খান সহ আরও ৪/৫ জন। সর্ব সাং- জালালপুর, ডাকঘর- হাজিপুর। ঘটনার তারিখ ও সময়ঃ ২০-০৪-২০২১ ইং, মঙ্গলবার বিকাল অনুমান ৩ ঘটিকা, স্থানঃ জালালপুর বাদির নিজ বসতবাড়ী সংলগ্ন। বিনীত নিবেদন এই যে, আমি দরখাস্তকারী কলাপাড়া উপজেলার ৫ নং নীলগঞ্জ ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামের একজন গরীব কৃষক। সাবেক জে এল নং ২৪ হাজিপুর মৌজায় এস এ ৪৭১ নং খতিয়ানের জোত-জমি হইতে বর্তমান বিএস ৭৭৪ নং খতিয়ানে শুদ্ধভাবে রেকর্ড করাইয়া ভােগবান মালিক দখলকার নিযুক্ত আছি। যাহা হইতে আমি ২ কেন্যা সাব কবলা দলিল মূলে ১-৭০ শতাংশ জমি খরিদ করিয়া যথা নিয়মে মিউটিশন করিয়া ভােগ দখলে থাকা অবস্থায় ১৯৯৩ সালে নতুন ওয়াপদা নির্মিত হইলে আমার কতেক জমি ওয়াপদার ভিতরে কতেক জমি ওয়াপদায় এবং কতেক জমি ওয়াপদার বাহিরে পরে। ইহাতে আমার মােট জমির প্রায় তিনের একাংশ জমি কমে যায়। যাহা বর্তমানে ওয়াপদা এবং ওয়াপদার কুয়া অর্থাৎ বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বাের্ডের জমি হিসাবে আছে। বিবাদী অত্যন্ত দাঙ্গা হাঙ্গামাকারী লাঠিয়াল সরদার ও ভূমিদস্যু প্রকৃতির লােক । সে আইন ও শালিশ বিচার মানে না। বর্তমানে সে ভেকু মেশিন দ্বারা ওয়াপদা সংলগ্ন জমি কাটিয়া সরকারি সম্পত্তির অপূরনীয় ক্ষতি সাধনে লিপ্ত আছে। যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এ ব্যপারে আমি তাহাকে এ ভাবে ঝুকিপূর্ণভাবে মাটি না কাটার জন্য অনুরােধ করলে সে আমার নিষেধ অমান্য করিয়া উত্তেজিতভাবে সে আমাকে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালি-গালাজ করে এবং মারধরসহ খুন জখমের হুমকী দেয়। উল্লেখ্য উক্ত বিবাদী ইতিপূর্বেও আমি এবং আমার ভাইকে মারধর করে। এমতাবস্থায় মহােদয় সমিপে আকুল আবেদন যাহাতে বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক সরকারি সম্পত্তিতে বেআইনীভাবে বেদখল ও ঝুঁকিপূর্ণভাবে মাটি কাটা বন্ধ করা হয় তাহার প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করছি। আমার বর্ণনা সত্য। বক্তব্যের পক্ষ্যে পর্যাপ্ত স্বাক্ষ্য প্রমান আছে। অতএব, মহােদয় সমিপে আকুল আবেদন, যাহাতে আসামীদের বিরুদ্ধে সুবিচার পাইতে পারি তাহার বিহীত বিধান করার একান্ত মর্জি হয়। অন্যথায় আমার অপূরনীয় ক্ষতির কারন হইবে। বিনীত নিবেদকঃ আবদুল লতিফ সিকদার, পিং মৃত মোঃ মফেজ সিকদার।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply