কলাপাড়ায় আনসার ব্যাটালিয়ান জওয়ানদের সাথে স্থানীয়দের সংঘর্ষ; নারী সহ আহত-১০

বিশেষ প্রতিবেদকঃ কলাপাড়ায় মসজিদ নির্মানকে কেন্দ্র করে আনসার ব্যাটালিয়ান জওয়ানদের সাথে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী সহ অন্তত: ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরন করা হয়েছে। এলাকাবাসীর উদ্দোগে
মসজিদ নির্মানে বাঁধা প্রদানের জেরে শুক্রবার জুম্মাবাদ ও জুম্মা নামাজের পূর্বে পৌরশহরের নাচনাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের উপর ব্যাটালিয়ান জওয়ানদের লাঠি পেটা ও ইট পাটকেল নিক্ষেপে নাচনাপাড়া এলাকা রনক্ষেত্রে পরিনত হয়। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এলাকাবাসী। ঘটনার পর কলাপাড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী আহমেদ, ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক, পৌরসভার মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, কলাপাড়া ওসি খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান ও জেলা আনসার ব্যাটালিয়ান কমান্ডিং অফিসার মো: কামরুজ্জামান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আনসার ব্যাটালিয়ান ক্যাম্প মসজিদে বাউন্ডারি ওয়াল ও গেট নির্মানের ফলে স্থানীয় মুসুল্লীরা নামাজ আদায়ে
বাঁধা পেয়ে নিজেদের উদ্দোগে নাচনাপাড়া এলাকায় মসজিদ নির্মান কাজ করছিল। এতে ব্যাটালিয়ান ক্যাম্পের ক’জওয়ান এসে মসজিদ নির্মান স্থানটি তাদের দাবী করে কাজে বাঁধা দেয়। এরপর মসজিদ নির্মানের উদ্দোক্তা কালাম মুসুল্লী (৪৫) কে শুক্রবার জুম্মা নামাজের পূর্বে বাসা থেকে ডেকে এনে লাঠি পেটা করে। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা বিক্ষুব্ধ হয়ে অভিযুক্ত জওয়ানদের
বিচার দাবী করে। এসময় ব্যটালিয়ান ক্যাম্পের জওয়ানরা জড়ো হয়ে স্থানীয়দের উপর লাঠি চার্জ সহ ইট পাটকেল নিক্ষেপ করায় নারী সহ অন্তত: ১০ জন আহত হয়। স্থানীয়রা আহত নুর আলম (৪০), তানিয়া (২৫), শাহিন (২৬), রোজিনা (২৫), আবুল
কালাম (৫০), শামিম (১৫), জেসমিন (৩২), ফোরকান (৪৫) ও রাশিদা (৫০) কে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরন করে।

এদিকে জেলা আনসার ব্যাটালিয়ান কমান্ডিং অফিসার কামরুজ্জামান এ ঘটনার জন্য দু:খ প্রকাশ করে বলেন, অনাকাংখিত এ বিষয়টি তদন্ত করে অভিযুক্ত জওয়ানদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ব্যাটালিয়ান ক্যাম্প সূত্রের দাবী স্থানীয়দের হামলায় ৪ ব্যাটালিয়ান জওয়ান আহত হয়েছে।

কলাপাড়া থানার ওসি খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনার পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ নিয়ে উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও আনসার ব্যাটালিয়ান কমান্ডিং অফিসার স্থানীয়দের নিয়ে সমঝোতার চেষ্টায় বৈঠক করেছেন। বর্তমানে শান্তিপূর্ন পরিবেশ বিরাজ করছে।

ওসি মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, এখন পর্যন্ত কোন পক্ষ থেকে কোন ধরনের লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।