বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩, ০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন
মহিপুরে জলদস্যু নাসির বাহীনির দিনদুপুরে কুপিয়ে দুজনকে গুরুতর জখম করার অভিযোগ
মোঃ হাবিবুল্লাহ খান রাব্বী, মহিপুরঃ
মহিপুরে জলদস্যু নাসির বাহীনি কর্তৃক কুপিয়ে দুজনকে গুরুতর যখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর যখম কৃতরা হলো- মোঃ আল-আমিন মুন্সী (৪০), মোসাঃ রহিমা বেগম (২২)। গত ২০ মে বেলা ১১টার দিকে মহিপুর থানার ৭নং লতাচাপলী ইউনিয়নের পশ্চিম খাজুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
২২মে বিকাল ৪টার দিকে খাজুরা গ্রামের জালাল মুন্সীর পুত্র গুরুতর আহত মোঃ আল আমিন জানিয়েছেন, দীর্ঘ দিন যাবৎ (দাদনের মাধ্যমে) মৎস্য ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করছে। একই গ্রামের মৃত্যু লেহাজ উদ্দিন হাওলাদারের পুত্র মোঃ নাসির হাওলার ট্রলারে মাছ শিকারের ব্যবসা প্রশারিত করার লক্ষে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দাদন গ্রহন করে। দীর্ঘ দুই বছর লেন দেন ভালই করে আসছে। কিন্তু বর্তমানে বিবাদীদের জলদস্যুতা ও সমুদ্র থেকে একাধিকবার জাল চুরির ঘটনা মহিপুর থানা পুলিশ ও কুয়াকাটা জেলে সমিতি ‘আশার আলো’ সংগঠনের মাধ্যমেও হাতে নাতে অন্য জেলেদের জাল, ট্রলার ও মুক্তিপনের ঘটনা প্রকাশিত হইলে ধ্রীত হয় এবং হাজতবাস করে।
গত ১ লা মে সমুদ্র থেকে জাল চুরি করার ফলে পুলিশ জলদস্যু নাসিরের বাড়ি থেকে মাঝি সমিতির সভাপতি শাহালম মাঝির জাল উদ্ধার করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ মার ধরের সূত্রপাত ঘটে। দিনের প্রকাশ্যে নাসিরসহ ৫জন তার নিজ বাড়িতে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আল আমিনের মাথা ফেটে যায় ও তার বোন রহিমা বেগমের হাত কুপিয়ে রক্তাক্ত যখম করে এবং তার স্ত্রী মাজেদা বেগমকে শ্লীলতা হানীসহ চাপা-ফুলা যখম করে। তাদের ডাকচিৎকারে পাশ্ববর্তী ইব্রাহীম হাওলাদার, জালাল মুন্সীসহ স্থানীয়রা উদ্ধার করে মহিপুর থানায় অফিসারকে দেখিয়ে কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কলাপাড়া উপ-স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মহিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও অদ্যবদি এজাহার নেয়নি মহিপুর থানা অফিসার ইনচার্জ।
জলদস্যু নাসির বাহিনীর অতর্কিত হামলায় মৎস্য ব্যাবসায়ী আলামিনের বাড়ি-ঘর কোপানোসহ লুট করে আনুমানিক ১ লাখ ৩০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে।
মহিপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জামানের কাছে জানতে থানার অফিসিয়াল মুঠোফোনে ফোন করলে ফোনটি রিসিভ হয়নি।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply