শনিবার, ০৩ Jun ২০২৩, ০৮:১৯ পূর্বাহ্ন
বিশ্বাস শিহাব পারভেজ মিঠুঃ পায়রা সমুদ্র বন্দর’র জন্য অধিগ্রহনকৃত বাড়ি-ঘর ও গাছপালার ক্ষতিপূরণ বাবদ ৬ আদিবাসী রাখাইন পরিবারের মাঝে মধ্যে ক্ষতিপূরনের টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার দুপুর ১২ টার দিকে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন তার কার্যালয়ে এসব পরিবারের সদস্যদের মধ্যে প্রায় ৯১ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেন।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জিএম সরফরাজ, জেলা ভূমি অধিগ্রহন কর্মকর্তা আল এমরান সহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ক্ষতিগ্রস্থ ৬ রাখাইন পরিবারের মধ্যে মোট ৯১ লাখ ৪৭ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে ইয়াংসি মাতুববর পেয়েছেন ১২.৪১ লাখ টাকা, চিংদামো রাখাইন ১৯.৯২ লাখ টাকা, মংমাচিন রাখাইন ২৬.৪৫ লাখ টাকা, লাবঅং মাতুববর ৭.৬৫ লাখ, মংচো রাখাইন ৬.৫১ লাখ ও লাচিংমো পেয়েছেন ১৮.৪৫ লাখ টাকা। ক্ষতিপূরনের টাকা গ্রহন করে ছ‘আনি পাড়ার মাতুব্বর চিংদামো রাখাইন বলেন, ‘আমরা কলাপাড়া উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের রাখাইন অধ্যুষিত ছোটবালিয়াতলী এলাকায় পুর্নবাসন হতে চাই। যাতে আমাদের কৃষ্টি ও ধর্মীয় রীতি-নীতি সুষ্ঠুভাবে পালন করতে পারি। জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন বলেন, ‘পায়রা বন্দরের অনুকূলে ছ‘আনি পাড়ার জমি অধিগ্রহন করা হয়েছে এবং পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ এসব রাখাইন পরিবার গুলোকে যথাযথ পূনর্বাসন করবে। আপাতত এ ৬টি পরিবারকে কলাপাড়া উপজেলা শহরের ভাড়া বাড়িতে রাখা হবে এবং পরবর্তীতে তাদের চাহিদামত পূনর্বাসন সাইট নির্মিাণ শেষে সেখানে স্থানান্তর করা হবে।’
প্রসঙ্গত, কলাপাড়ার টিয়াখালী ইউনিয়নে ছ‘আনিপাড়া গ্রামটির গোড়াপত্তন হয়েছিল ১৭৮৪ সালে। তখন কয়েকশ’ পরিবারের বাস ছিল এখানে। কালের বিবর্তনে এখন মাত্র ছয় টি পরিবার অবশিষ্ট আছে। ১৮ জন পুরুষ, ১০ জন নারী
আর ২ জন শিশুসহ মোট বাসিন্দা ৩০ জন।
পায়রা বন্দরের উন্নয়ন কাজের জন্য পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন গোটা গ্রামটি অর্থাৎ সাড়ে ৫ একর জমি অধিগ্রহন করে। গ্রামের রয়েছে একটি রাখাইন মন্দির আর এ মন্দিরের সেবায়েত হিসেবে রয়েছে এ ৬ পরিবারের লোকজন। রাখাইন রীতি অনুযায়ী এসব সেবায়েতরা জমির মালিক নয়।
এরা পাবেন শুধুমাত্র জমির ওপর স্থাপিত অস্থাবর সম্পত্তি ঘর-বাড়ি, গাছপালা। জেলা প্রশাসন এ ছয় পরিবারের অস্থাবর সম্পত্তির মূল্য বাবদ ৯১ লাখ ৪৭ হাজার টাকা পরিশোধ করলো।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply