রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, ১০:২৮ পূর্বাহ্ন
আপন নিউজ অফিসঃ কুয়াকাটায় বেড়াতে যাওয়া পর্যটক-দর্শনার্থীর জন্য আরেক সুখবর। এখন শুধু আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের অপেক্ষা। আরেক নব দিগন্তের সূচনা হবে।
কুয়াকাটাগামী বিকল্প সড়কের বালিয়াতলী পয়েন্টে আন্ধারমানিক নদীতে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এখন চলছে সংযোগ সড়কের কিছু অসমাপ্ত কাজ। তাও ইট বিছানো শেষ হয়েছে। এখন শুধু এপ্রোচের কিছু অংশ কার্পেটিং এবং ব্লক প্লেসিংএর কাজ। মাত্র ৫-৬ দিনের কাজ। এখন সেতুটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের অপেক্ষায় মুখিয়ে রয়েছে মানুষ। বিকল্প পথে গঙ্গামতি পর্যটনপল্লী হয়ে কুয়াকাটা যাওয়ার সুযোগ মিলবে পর্যটকসহ দর্শনার্থীর। উন্মোচিত হবে পর্যটন এলাকার আরেক দূয়ার।
পর্যটন এলাকার মানুষ ছাড়াও উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধন হলো কলাপাড়া উপজেলার বালিয়াতলী, লালুয়া, মিঠাগঞ্জ, ধুলাসার ও ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের। ভারি যানবাহন নিয়ে সরাসরি কুয়াকাটা কিংবা পায়রা বন্দর টার্মিনালে যেতে পারবেন আগতরা।
প্রকল্প পরিচালক রুহুল আমিন খান বলেন, ‘সেতুটি নির্মানের পূর্বে বুয়েট কর্তৃক হাইড্রোলজি ও মরফোলজি স্ট্যাডিসহ ইনভারমেন্টাল ইমপ্যাক্ট এসেসমেন্ট (EIA) সম্পন্ন করা হয়েছে। তাছাড়া পরিবেশ অধিদফতর থেকে যথাযথ নিয়ম মেনে পরিবেশ ছাড়পত্র গ্রহণ করা হয়েছে। সেতুটির ডিজাইন প্রনয়নকালে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত AASHTO LRFD Bridge Design Specification এবং AASHTO HL-93 Loading বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। সেতুটির ঈধৎৎরধমবধিু সাড়ে সাত মিটার এবং ফুটওয়েসহ মোট প্রস্থ নয় দশমিক ৮০ মিটার ধরা হয়েছে যা পায়রা বন্দরের ভারী যানবাহনসহ বাংলাদেশে প্রচলিত যেকোন ধরনের গাড়ি চলাচলের জন্য উপযুক্ত। পায়রা বন্দর নির্মানের পূর্বেই উল্লেখিত ডিজাইন কোড অনুসরন করে সেতুটির ডিজাইন করা হলেও ২০১৬ সালে পায়রা বন্দর নির্মাণের কার্যক্রম শুরু হলে এলজিইডি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেয় এবং বিআইডব্লিউটিএ থেকে চুড়ান্ত নেভিগেশন ক্লিয়ারেন্স গ্রহণ করা হয়। সেই প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত পরিবর্তনও আনা হয়। ’
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply