বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:২৭ পূর্বাহ্ন
চঞ্চল সাহা, আপন নিউজঃ কলাপাড়ায় ভুমিদস্যুদের আদিপত্য প্রকট আকার ধারন করছে। উপজেলার ১২ টি ইউনিয়ন সহ পৌরশহরে নতুন করে মাথা চারা দিয়ে উঠেছে এ ভুমিদস্যুরা। এরা সংখ্যায় গুটি কয়েক হলেও যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে তাদের ছত্র ছায়ায় একের পর এক জমি দখলের ঘটনা ঘটাচ্ছে। এতে পার পাচ্ছে না কলাপাড়ার ভি.আই.পি খ্যাত মানুষজনও। বর্তমানে জমির মালিকদের অনেকে এদের লোলুপ দৃষ্টিতে পৈত্রিক ভিটে-মাটি বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে।
অপরদিকে, রয়েছে ভূয়া ওয়ারিস সাজানোর ঘটনা। এক্ষেত্রে রাখাইন সম্প্রদায়ের মানুষদের অবলম্বন করা হচ্ছে। এলাকায় রাখাইন সম্প্রদায়ের বিক্রিত জমিতে পুনরায় ভুয়া ওয়ারিশ সাজিয়ে জমি দখলের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। ভুমি দস্যুতা পেশায় থেকে এলাকায় অন্ততঃ শতাধিক মানুষ কোটিপতির তালিকায় রয়েছে। এরা সাধারন কৃষক থেকে শুরু করে বিত্তবানদের জমিতে নিজেদের জমি দাবী করে সাটিয়ে দিচ্ছে সাইনর্বোড। অনেক জমিতে গেড়ে দিচ্ছে খুটা ভুয়া ও্ই সাইনবোর্ড কিংবা খুটা সরাতে লাখ লাখ টাকা দিতে হচ্ছে ভুমিদস্যুদের। ”সর্বোপরি জোর যার মুল্লুক তার” এমন নীতি কলাপাড়ায় চলে আসছে।
এসব ভুমিদস্যুদের দৃশ্যমান কোন উপার্জন নেই, তবুও এদের বেশভুসা বাসাবাড়ীর অবকাঠামো এলাকাবাসীকে হতবাক করে দিচ্ছে। এসব ভুমিদস্যুদের উপার্জনের কৌশল একেক জনের একেক রকম। কেউ জমিতে খুটা কিংবা সাইনর্বোড সাটিয়ে দিয়ে। ছাড়াও জমির বৈধতা প্রমান করার জন্য বিক্রিত জমির পাওয়ার নিয়ে ভুয়া কাগজ তৈরী করে প্রকৃত জমির মালিকদের ভয়-ভীতি দেখিয়েও হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
এদের আশ্রয়দাতারা এলাকার রাঘব বোয়াল বলে জানা গেছে। এরা প্রতিনিয়ত ভুমিদস্যুদের সাহস যুগিয়ে থাকেন । ফলে এলাকায় দিনের পর দিন ভুমিদস্যদের সদস্য সংখ্যা বেড়ে চলেছে। স্থানীয় অভিজ্ঞমহল এটাকে বিনা চালানে ব্যবসা বলেও উল্লেখ করেন। এলাকায় ভুমিদস্যুতা রোধে কখনো কোন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এগিয়ে আসেনি। বরং তাদের মদদে এমন ঘটনা অহরহ ঘটে চলেছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ উঠেছে।
নাগরিক উদ্যোগ কলাপাড়ার আহবায়ক কমরেড নাসির তালুকদার জানান, গুটি কয়েক ভুমদিস্যুদের কাছে এলাকার শতশত কৃষক জিম্মি। কৃষক তাদের ভিটে-মাটি হারাচ্ছে। অচিরেই এ ঘটনার অবসান করে জড়িতদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেয়া উচিৎ।
পৌরশহরের ব্যবসায়ী মো.হুমায়ুন কবির জানান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমানের জমি দখলের পায়তারা করে আসছিল এক শ্রেনীর ভুমিদস্যুরা। তাহলে এলাকার সাধারন কৃষক যাবে কোথায়? অবিলম্বে এদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবী জানান তিনি।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এবং কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সামসুল আলম জানান, এলাকায় ভুমিদস্যুতায় সাধারন কৃষক ভীত সন্তস্ত্র। এটা আরো ১৫/২০ আগ থেকেই চলে আসছে। তবে দিন দিন প্রকট আকার ধারন করছে। এর নির্মূল হওয়া জরুরী হয়ে দাড়িঁয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply