বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:১২ অপরাহ্ন
মেজবাহউদ্দিন মাননুঃ স্বামী ইমরান খলিফা, দেড় বছর বয়সী একমাত্র কন্যা সন্তান ইসরাতকে নিয়ে নতুন জীবন-সংসার গোছানোর স্বপ্নে বিভোর ছিলেন তরুণী গৃহবধু সনিয়া আক্তার। কীই বা বয়স, ২২ কি ২৩ বছর। কেবল জীবন গড়ার যাত্রা শুরু করেছিলেন। কিন্তু বিধি বাম। মুহুর্তেই জীবন-সংসার গড়ার স্বপ্ন তো দুরের কথা। এখন নিজের জীবন নিয়ে বেচে থাকার লড়াই করছেন এই তরুণী গৃহবধূ। তার দুটো কিডনি বিকল হয়ে পড়েছে। স্বামীর দর্জির কাজ করে সংসারের উপার্জন, তা দিয়ে চিকিৎসা চালাতে অক্ষম হয়ে পড়েছেন। শ্রমজীবী বাবা কুদ্দুস প্যাদা মেয়ের চিকিৎসার খরচ চালাতে জমি-জিরেতসহ সম্পদ খুইয়েছেন। প্রায় ৫০ লাখ টাকা ব্যয় করে তিনি এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার পূর্ব-টিয়াখালী গ্রামে মুজিব শতবর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া ঘরটিতে (বাবার বাড়িতে) এখন অবস্থান সনিয়ার। যে চোখে স্বামী-সন্তান নিয়ে সংসার গড়ার স্বপ্ন দেখতেন; সেই চোখে এখন অশ্রু গড়ায়। চোখে-মুখে শুধু বেচে থাকার আকুতি। আড়াই বছর ধরে চিকিৎসা চালাতে গিয়ে সনিয়ার স্বামী ইমরাণ, বাবা কুদ্দুস প্যাদা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। এখন সপ্তাহে দুইবার পটুয়াখালীতে গিয়ে ডায়ালাইসিস করাতে হয়। এজন্য ফি সপ্তাহে আট হাজার টাকা খরচ চালাতে হয়। সকাল হলেই মেয়ের চিকিৎসার যোগানে অস্থির হয়ে যান কুদ্দুস প্যাদা।
দুচোখে সব যেন অন্ধকার দেখছেন। নিজের মায়াবী মুখাবয়ব নিয়ে ছোট্ট কন্যা শিশুটিকে কোলে নিয়ে সনিয়ার আকুতি শোনলে পাষাণেরও হৃদয় মোচড় দিয়ে ওঠে। নির্বাক হতে হয়। কীভাবে ব্যয়বহুল চিকিৎসা চালাবে এই পরিবার। কীভাবে সুস্থ থাকার নিশ্চয়তা মিলবে। দূরারোগ্য এই ব্যধি থেকে সনিয়া তাঁর কিডনি ট্রান্সপ্লান্টের (প্রতিস্থাপনের) মাধ্যমে বাঁচতে চায়। চায় বিত্তশালী হৃদয়বান মানুষের সহায়তা। নইলে জীবনের পরিণতি কী যে হবে তা জানা নেই কারও। যোগাযোগের জন্য-০১৭১৩৬৪৫৭২২।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply