শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৪৩ পূর্বাহ্ন
মো. নাহিদুল হকঃ কলাপাড়ার লালুয়া ইউনিয়নে পায়বা সমুদ্র বন্দরের জন্য ভূমি অধিগ্রহন করে সরকার তাতে ২টি গ্রামের ১৭২টি পরিবার দীর্ঘ বছর ধরে এক সাথে বসবাস করত, এখন ১০৬টি পরিবারকে মহল্লাপাড়া ২ নং প্যাকেজে আবাসন ঘর দেওয়া হয়েছে বাকি ৬৬ পরিবারকে অন্যত্র আবাসন ঘর দেওয়া হবে,ওই পরিবার গুলোর দাবি তদের যদি মহল্লাপাড়া ২ নং প্যাকেজে আবাসন ঘর দেয়া হয় তাহলে তারা আগের মত একসাথে আত্মীয় স্বজন,প্রতিবেশি নিয়ে শান্তিতে বসবাস করিতে পারবেন। ৬৬টি পরিবার এখন পর্যন্ত ঘর না পেয়ে রেড়িবাঁধের উপর অসহায় জীবন যাপন করছেন।
সরজমিনে গিয়ে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের ২ গ্রামের ১৭২টি পরিবারের মধ্য নয়াকাটা গ্রামের ৫৭টি পরিবারের ২৯টি পরিবারকে মহল্লা পাড়া ২ নং প্যাকেজে আবাসন ঘর দেওয়া হয়েছে বাকি ২৮টি পরিবারকে অন্যত্র আবাসন ঘর দিতে চাচ্ছেন,চৌধুরি পাড়া গ্রামের ১১৫ পরিবারের ৭৭টি পরিবার ঘর পেয়েছে বাকি ৩৮টি পরিবারকে অন্য প্যাকেজে ঘর দিতে চায় পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথায় দীর্ঘ বছর ধরে বসবাস করা বাব,দাদার ভিটা,বাড়ি সব দিয়েছেন পায়রা সমুদ্র বন্দরের জন্য। ৬৬টি পরিবার এখন রেড়িবাঁধের উপর অসহায় জীবন যাপন করছেন। তাদের দাবি দীর্ঘ বছর ধরে সুখ,দুঃখে এক সাথে ছিলাম,বাকী জীবন এক সাথে থাকতে চাই। সরকার তাদের সকলকে যদি মহল্লাপাড়া ২ নং প্যাকেজে আবাসন ঘর দেয় তাহলে আমরা সবাই আগের মত একসাথে বসবাস করতে পারব। মহল্লাপাড়া ২ নং প্যাকেজে ঘর খালি থাকা সত্বেও তাদের কে অন্য প্যাকেজে ঘর দিলে সেখানে বসবাস করতে কষ্টকর হবে।
বেড়িবাঁধের উপর আশ্রয় নেয়া মোসা.রেশমা বেগম বলেন,আমার দুই সন্তান নিয়ে আমি একা ছিলাম, এখানে বিপদের সময় সকলকে পেয়েছি মহল্লাপাড়া ২ নং প্যাকেজে ঘর পাইলে সবাইকে পাব যদি অন্য কোথাও ঘর দেয় সেখানে থাকবো কিভাবে।
বেড়িবাঁধের উপর আশ্রয় নেয়া মরিয়ম জান বিবি,মিনারা বেগম, শেফালি বেগম বলেন, আমরা দুই গ্রামের মানুষ মিলেমিশে একত্রে ছিলাম বাকি জীবনটা একসাথে থাকতে চাই। মহল্লাপাড়া ২নং প্যকেজে আমরা থাকতে চাই এটা আমাদের দাবী সরকারের কাছে।
বেড়িবাঁধের উপর আশ্রয় নেয়া মো.ইউসুফ আলী সরদার,করিম প্যদা,মো.নুরছাইদ বলেন,আমাদের বয়স ষাট এর উপরে এত বছর যাদের সাথে বসবাস করেছি বাকি জীবনটা তাদের সাথে কাটাতে চাই। মহল্লাপাড়া ২ নং প্যাকেজে আমাদের আবাসন ঘর দিলে এক সাথে শান্তিতে বসবাস করতে পারবো। যখন আমাদের জমি সরকার নেয় তখন অফিসাররা বলেছেন কোথায় থাকতে চান তখন আমরা বলছি মহল্লাপাড়া থাকবো, এখন কেউ পাইবে মহল্লাপাড়া আবার কাউকে দেওয়া হবে অন্য যায়গায় তাহলে আমরা ছিন্নবিছিন্ন হয়ে যামু। আমরা চাই এক সাথে থাকতে।
লালুয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস বলেন, মহল্লাপাড়া ২ নং প্যাকেজে যদি ঘর থাকে তা হলে তাদেরকে সেখানে দেয়া হোক, কারন তারা ৬০ বছর ধরে একত্রে বসবাস করে আসছে।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply