বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:২৯ অপরাহ্ন
আপন নিউজ অফিস: কলাপাড়ায় ছয় বছরের পুত্র সন্তান স্বাধীনের পিতার ও স্বামীর অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে এখন দিশেহারা হয়ে গেছেন সুমি আক্তার। শিক্ষিত এই তরুণী এখন দুচোখে অন্ধকার দেখছেন। পারছেন না সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করাতে
সুমি আক্তার স্বামী বশির উদ্দিনকে আসামি করে মামলা করেছেন। মামলার খরচ যোগাতে এবং নিজের জীবিকা নির্বাহের জন্য বৃদ্ধ বাবা-মায়ের সংসারে বোঝা হয়ে আছেন তিনি। সুমির বাড়ি উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের বৌদ্ধপাড়া গ্রামে।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় কলাপাড়া প্রেসক্লাবের ইন্জিনিয়ার তৌহীদুর রহমান মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে সুমি আক্তার তার অসহায়ত্ব তুলে ধরেন।
লিখিত বক্তব্যে সুমি বলেন, সে যখন খেপুপাড়া সিনিয়র মাদ্রাসায় ফাজিলের ছাত্রী তখন টিয়াখালী ইউনিয়নের পশ্চিম বাদুরতলী গ্রামের তৎকালীন ইউপি মেম্বার বশির উদ্দিন হাওলাদারের সঙ্গে পরিচয় হয়। তখন বশির তার প্রথম স্ত্রীর কথা গোপন রাখে। এক পর্যায়ে ২০১২ সালের জানুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহে সুমিকে বিয়ে করেন। পৌর শহরে ভাড়া বাসায় বসবাস করতে থাকেন। এরই মধ্যে ২০১৬ সালে সুমি যখন সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা তখন প্রথম স্ত্রীর খবর প্রকাশ পায়। এরপর থেকে বশির উদ্দিন সটকে পড়েন।
সুমি আরও বলেন, উপায় না পেয়ে তিনি পটুয়াখালী নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতে মামলা করেন। এরই মধ্যে সুমির কোলে আসে এক পুত্র সন্তান। এরপর থেকে চলছে সুমির সন্তানের পিতার এবং স্বামীর অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই। এরই মধ্যে বিভিন্ন ব্যক্তি-চক্র সুমিকে বিভিন্ন সময় ২০ লাখ টাকার বিনিময়ে মামলা প্রত্যাহার করে স্বামী-সন্তানের পিতার অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই থেকে সরে আসার জন্য অফার করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বশির উদ্দিন গণমাধ্যমকে কিছু জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। সংবাদ সম্মেলনে সুমি আক্তারের বাবা আলাউদ্দিন ফকির, মা হাজেরা বেগমসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply