শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৪৮ পূর্বাহ্ন
আপন নিউজ ডেস্ক: পত্রিকাসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যা, মনগড়া, ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার চালাচ্ছে। এমন দাবি করে অনিম মৃধা বলেন, আমি একজন ছাত্র, বরিশাল বি.এম কলেজে মাষ্টার্সে অধ্যায়নরত আছি। আমার বাবা মোঃ জুলফিকার আলী ভুট মুখা, মাতা মোসাঃ মনিয়ারা সুলতানা বিউটি, আমার বাবা ও মা চাচাতো ভাই বোন বটে। আমার বাবা মা, দাদা নানা একই বাড়ীতে বসবাস করি। আমরা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান আমার শরীরে মুক্তিযোদ্ধার রক্ত বহমান। আমাদের বাড়ীতে আমার নানা আঃ রব মৃধা, শাহাবুদ্দিন দুলাল মৃধা সহ আরও ৪/৫ জন মুক্তিযোদ্ধা আছে। আমার নানা বৃহত্তম ধানখালী ইউনিয়ন শাখার বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ৩ বারের সভাপতি। যা প্রায় ৩০ বছর দলীয় দায়িত্ব পালন করেছেন। এখনও দলীয় প্রতিটি মিছিল ও মিটিংয়ে জড়িত এবং সকল প্রোগ্রামে অংশগ্রহন করে প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছেন। আমার দাদা একজন সক্রিয় আওয়ামীলীগ এর একজন কর্মী ছিলেন। আমার বাবা একজন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এবং বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের একজন কর্মী। আমার রাজনীতিতে পথ চলা আমার মুক্তিযোদ্ধা নানা আঃ রব মৃধার হাত ধরে। তখন অনুমানিক ৭ম শ্রেণির ছাত্র। আমি দেখেছি আমার নানার দলীয় দায়িত্ব ও কর্মকান্ড। শুনেছি বাংলাদেশের রাখাল। রাজা মুকুটহীন সম্রাট গর্ব কালের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৭ই মার্চের সেই ঐতিহাসিক ভাষন যা আমার শরীরের প্রতিটি শিরায় উপশিরায় আমাকে জানান দেয় যে এ বর্ষীয়ান নেতার দল ছাড়া আর বাংলার কোন দল আমি করতে পারিনা। তাছাড়া বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ তো আমাদের পরিবারের দল। কারন আমার পরিবারের নানা সহ কায়েজন মুক্তিযোদ্ধা আছে যারা জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ভাষনে ঝাপ দিয়ে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিলেন। তাছাড়া আমার মামা ও চাচা বর্তমান বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ৮নং ধানখালী ইউনিয়ন শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছে, মোঃ শাহজাদা পারভেজ টিনু মৃধা এবং আমার পরিবারে আরও একজন চাচা ও মামা মোঃ মেজবাহ উদ্দিন বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিকলীগ ৮নং ধানখালী ইউনিয়ন শাখার সভাপতির দায়িত্ব পারন করে আসছে। আমার আরও এক দাদা ও নানা মোঃ শহিদুল ইসলাম মৃধা ৮নং ধানখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ৩নং ওয়ার্ডের সভাপতির দায়িত্ব থাকা অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। এছাড়া আঃ রাজ্জাক মৃধা ইউনিয়ন শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ রেজাউল আলম রেফা মৃধা ইউনিয়ন শাখার যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ মামুন মৃধা ৩নং ওয়ার্ড শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি সহ পরিবারের অসংখ্য লোক বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের দায়িত্ব পালন করে আসছে। যেমন- করিম মৃধা, জব্বার মৃধা, লালু মৃধা, চান্দু মৃধা, নয়ন মৃধা, হাফিজ মৃধা, বারেক মৃধা, বশির মৃধা, আলামিন মৃধা, লিটন মৃধা, সান্টু মৃধা, হারুন মৃধা, রিপন মৃধা, বাবুল মৃধা, সোয়েন মৃধা, মিজানুর মৃধা, ফয়সাল মৃধা, সেলিম মৃধা, মামুন মৃধা, রেভাবি মৃধা, মিরন মৃধা, সুজন মৃধা, আপেল মৃধা, সাগর মৃধা, বাদল মৃধা, মঞ্জু মৃধা, আফজাল মৃধা, জিয়া মৃধা, জনি মৃধা ইত্যাদি। আমি সেই ২০০৫-২০০৬ সাল থেকে ছাত্রলীগের হাল ধরে আজও আছি যা লোন্দা হাফিজ উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অধ্যায়ন রত অবস্থায় ছাত্রলীগের দায়িত্ব পালন করেছি ও মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজ কলাপাড়া ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য থেকে ধানখালী ইউনিয়নের সকল শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি/সম্পাদক সহ সকল কর্মীদরে সাথে প্রতিটি মিছিল মিটিং প্রচার প্রচারনা চালিয়েছি ও দায়িত্ব পালন করে আসছি। যা ধারাবাহিকতায় ইউপি নির্বাচন উপজেলা নির্বাচন, সংসদ নির্বাচন, কলাপাড়া পৌর নির্বাচন, কুয়াকাটা পৌর নির্বাচন, মহিপুর ও ধুলাসার ইউপি নির্বাচনে ও ধানখালী ইউনিয়ন সম্মেলনে, কলাপাড়া উপজেলা সম্মেলনে ও পটুয়াখালী জেলা সম্মেলনে উপস্থিত থেকে কাজ করেছি। এছাড়া বিভিন্ন নির্বাচনে ছাত্রলীগের পরিচালনা কমিটির দায়িত্ব পালন করেছি। এখন আমি ধানখালী ইউনিয়ন শাখার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রত্যাশি। তাই একটা মহল হয়তো আমাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য বিভিন্ন অপ-প্রচার সহ ভুল ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে এবং মিথ্যা ও বানোয়াট ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে আমার ছাত্রলীগের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সড়িয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করে যাচ্ছে।
পত্রিকাসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যা, মনগড়া, ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার চালাচ্ছে। তা আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিববাদ জানাচ্ছি।
-অনিম মৃধা, ধানখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি পদপ্রত্যাশী।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply