শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪২ পূর্বাহ্ন
আমতলী প্রতিনিধি: আমতলী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন খানের ওপর হামলাকারী সেই আলোচিত কিশোর গ্যাং লিডার সবুজ ম্যালাকার, ইফসাক আহম্মেদ ত্বোহা, শাহাবুদ্দিন সিহাব, সুমন প্যাদা, রাকিব প্যাদা, রবিউল, রাহাত মৃধা, সন্ত্রাসী রুহুল আমিন ও উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ মাহবুবুল ইসলামসহ ২০-২৫ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী গত রবিবার দুপুরে উপজেলা আওয়ামীলীগ সম্মেলনে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা করেছে এমন দাবী প্রত্যক্ষদর্শীদের। লাল গেঞ্জি পরিহিত কিশোর গ্যাংরাই বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের সামনে আমতলী পৌরসভা প্রাঙ্গণের সম্মেলন মঞ্চে এ হামলা করে।
জানাগেছে, রবিবার দুপুরে আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সম্মেলন উপজেলা আওয়ামীলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চাওড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আখতারুজ্জামান বাদল খাঁন উস্কানীমুলক বক্তৃতা দেন। তাৎক্ষনিক কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সম্মুখ্যে তার এ বক্তৃতার প্রতিবাদ করেন উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জিএম হাসান, পৌর আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর জিএম মুছা, উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র নাজমুল আহসান নান্নু ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ গোলাম সরোয়ার ফোরকান মিয়া। ওই মুহুর্তেই আমতলীর আলোচিত কিশোর গ্যাং লিডার সবুজ ম্যালাকার, ইফসাক আহম্মেদ ত্বোহা, শাহাবুদ্দিন সিহাব, সুমন প্যাদা, রাকিব প্যাদা, রবিউল, রাহাত মৃধা, সন্ত্রাসী রুহুল আমিন, জসিম মুন্সি ও উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ মাহবুবুল ইসলামসহ লাল গেঁঞ্জি পরিহিত ২০-২৫ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী তাদের ওপর হামলা চালায় বলে দাবী করেন জিএম ওসমানী হাসান। এর মধ্যে সাদা গেঞ্জি পরিহিত হামলাকারী সবুজ ম্যালাকার ও উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল অঞ্চল) অ্যাড. আফজাল হোসেন ও আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহম্মেদসহ কেন্দ্রীয় নেতারা বারবার হামলাকারীকে নিবৃত করতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এক পর্যায় তারা সভাম ছেড়ে নিরাপদে যান। হামলাকারীরা উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জিএম ওসমানী হাসান ও তার ভাই পৌর আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর জিএম মুছাকে পিটিয়ে আহত করে। এ কিশোর গ্যা লিডার সবুজ ম্যালাকার, শাহাবুদ্দিন সিহাব, সজিব প্যাদা, রাকিব মৃধা ও সন্ত্রাসী রুহুল আমিন গত ১৬ আগষ্ট প্রকাশ্যে শত শত মানুষের উপস্থিতিতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন খাঁনকে কুপিয়ে জখম করেছে। সেই কিশোর গ্যাং লিডাররাই রবিবার আমতলী পৌরসভা চত্বরে আওয়ামীলীগ সম্মেলনের সভা মঞ্চে হামলা করেছে বলে জানান হামলার শিকার জিএম মুছা। এ কিশোর গ্যাংদের বিরুদ্ধে আমতলী থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
পৌর আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর জিএম মুছা বলেন, পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানের পালিত কিশোর গ্যাং বাহিনী এবং উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মাহবুবুল ইসলামসহ ২০-২৫ জন ছাত্রলীগ নেতামকর্মী কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে সম্মেলন মঞ্চে আমাদের ওপর হামলা করেছে।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন খাঁন বলেন, আমার ওপর হামলাকারী কিশোর গ্যাং লিডার সবুজ ম্যালাকার, শাহাবুদ্দিন সিহাব, সজিব প্যাদা, রাকিব মৃধা ও সন্ত্রাসী রুহুল আমিনই উপজেলা আওয়ামীলীগ সম্মেলন মঞ্চে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে সম্মেলন মঞ্চে হামলা করেছে। তিনি আরো বলেন, পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানের সন্ত্রাসী বাহিনীর সকলেই লাল গেঞ্জি পরিহিত ছিল। শুধু উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মাহবুবুল ইসলাম ও কিশোর গ্যাং লিডার সবুজ ম্যালাকার সাদা পোশাক পরা ছিল।
উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ মাহবুবুল ইসলামের মুঠোফোনে (০১৭১৪১২০০৯৬) বারবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বরগুনা জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ রেজাউল কবির রেজা বলেন, সম্মেলন হামলার ঘটনায় বরগুনা জেলা আওয়ামীলীগ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। ওই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ছাত্রলীগের কেউ দোষী সাবস্থ হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান তার কোন বাহিনী নেই দাবী করে বলেন, সম্মেলনে কিশোর গ্যাংয়ের কেউ ছিল না। সবাই উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা কর্মী।
আমতলী থানার ওসি একেএম মিজানুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply