গলাচিপায় মৃত্যুর আগে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকায় নাম দেখে যেতে চান | আপন নিউজ

শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০২:২৮ পূর্বাহ্ন

প্রধান সংবাদ
আমতলীতে মা ইলিশ সংরক্ষণে সচেতনতা সভা কলাপাড়ায় পারিবারিক দ্বন্দ্বে ৪ জনকে কু’পি’য়ে জ-খ’ম করার অভিযোগ বানারীপাড়ায় প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের মা’নব’ব’ন্ধন অনুষ্ঠিত আমতলীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ১ দফা দাবিতে মা’নব’বন্ধ’ন ও স্মারকলিপি প্রদান কলাপাড়ায় রাতের আধারে জমি দ-খল করে মাছের খামার করার অভিযোগ ভাষা ও সাহিত্যে সম্মান সূচক ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেছেন শহিদুল ইসলাম কলাপাড়ায় এক অসহায় বৃদ্ধার বন্দোবস্তকৃত জমি দ-খল; আদালতে মা’ম’লা কলাপাড়ায় পূবালী ব্যাংকের উদ্যোগে নারকেল গাছ রোপন কলাপাড়ায় শিক্ষকের বাসা থেকে নগদ ২ লক্ষ টাকা ও ৮ ভরি স্বর্ণালংকার চু-রি আমতলীতে কমিটির সভাপতির বিতর্কীত কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে মা’নব’বন্ধ’ন ও বি’ক্ষো’ভ মি’ছি’ল
গলাচিপায় মৃত্যুর আগে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকায় নাম দেখে যেতে চান

গলাচিপায় মৃত্যুর আগে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকায় নাম দেখে যেতে চান

সঞ্জিব দাস, গলাচিপাঃ গলাচিপায় মৃত্যুর আগে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকায় নাম দেখে যেতে চান ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্ন রনাঙ্গনে জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করা এক অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতালেব হোসেন। মুক্তিযুদ্ধে তিনি ভোলার ৮ নম্বর সেক্টরে বাবুর্চি হিসেবে কাজ করে মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করতেন। ভোলা জেলার দৌলতখান থানার মেদুয়া বৈকন্ঠপুর গ্রামের আবদুল আলীর ছেলে মোতালেব হোসেন মহান মুক্তিযুদ্ধে সফল একজন যোদ্ধা হিসেবে বিজয়ী হলেও আজ তিনি জীবন যুদ্ধে এক পরাজিত সৈনিক। যুদ্ধের পর নদী ভাঙ্গনে সর্বশান্ত হয়ে তিনি তার পরিবার নিয়ে তার মেয়ে জামাইয়ের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি ইউনিয়নের কোকাইতবক গ্রামে এসে আশ্রয় নেন। দুই মেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে তার জীবন সংসার। মেয়ের বাড়িতেই তিনি স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। মুক্তিযুদ্ধের ৫২ বছর পার হলেও আজ তার নাম ওঠেনি মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায়। অথচ তার সাথে যারা ওই সেক্টরে ছিলেন (শাহজালাল চৌকিদার, বাবুর্চি ইদ্রিস, যোদ্ধা ইলিয়াস মাঝি, যোদ্ধা কাসেম সরদার, যোদ্ধা খোরশেদ আলম, কমান্ডার নাইমুল হক, যোদ্ধা মিলন মিয়া) সবার নাম তালিকায় এসেছে।

এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা মোতালেব হোসেন বলেন, ভোলার ৮ নম্বর সেক্টরে বাবুর্চি হিসেবে কাজ করে মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করে যুদ্ধে অংশ নিয়েছি। যুদ্ধের পরে আমার বাবার পৈত্রিক সম্পত্তি নদীতে ভেঙ্গে গেছে। আমার দুটি কন্যা সন্তান নিয়ে আজও বেঁচে আছি। মুক্তিযুদ্ধের সকল ধরণের কাগজ আমার কাছে থাকলেও তালিকায় আমার নাম আজও ওঠেনি। যার কাছে যাই সেই অপরাগতা প্রকাশ করে অন্য কারো কাছে পাঠিয়ে দেয়। আমার জায়গা সম্পত্তি হারিয়ে মেয়ে জামাই বাড়িতে থাকি। একটি মাদ্রাসার জন্য বাড়ি বাড়ি চাল উঠিয়ে কিছু মাদ্রাসায় দেই সেখান থেকে কিছু আমাকে দেয়। এভাবেই চলে আমার সংসার। মুক্তিযোদ্ধা হয়েও আজ পর্যন্ত কোন সরকারি সহায়তা আমি পাই নাই। মৃত্যুর আগে আমার একটাই আশা মৃত্যুর আগে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকায় নাম দেখে যেতে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে অনেক কিছুই করে দিচ্ছেন। তাই মুক্তিযুদ্ধের তালিকায় আমার নাম ওঠালে হয়ত সরকারি সহায়তা পেয়ে বাকি জীবনটা কাটাতে পারতাম। এ বিষয়ে পানপট্টি ইউপি চেয়ারম্যান মো. মাসুদ রানা বলেন, আসলেই মোতালেব হোসেন একজন অসহায় গরিব মানুষ। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হলে তার নাম অবশ্যই তালিকায় থাকা দরকার। এর জন্য আমি সবার সদয় দৃষ্টি কামনা করছি।

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com

Design By JPHostBD
error: সাইটের কোন তথ্য কপি করা নিষেধ!!