মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:০৭ অপরাহ্ন
আপন নিউজ অফিসঃ সোমবার ১৯ ফেব্রুয়ারী মোঃ মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে কলাপাড়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করায় পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন করলেন মিজানুর রহমান। তার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যে করে মিথ্যা বিভ্রান্তিকর বলে দাবি করে বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় কলাপাড়া প্রেসক্লাবে এই সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, গত ১৯/০২/২০২৪ ইং তারিখে কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড পূর্ব টিয়াখালী গ্রামের মরহুম জুয়েল প্যাদার স্ত্রী মোসাঃ মনিরা বেগম আমাকে উদ্দেশ্যে করে যে মিথ্যা বিভ্রান্তিকর সংবাদ সম্মেলণ করেছেন তা সম্পূর্ন মিথ্যা-বানোয়াট উদ্দেশ্যে প্রনোদিত বটে। কারন নিহত জুয়েল প্যাদা একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও অপরহনকারী প্রকৃতির লোক। যাহার বিরুদ্ধে কলাপাড়া থানা সহ বিভিন্ন আদালতে একাধিক হত্যা, গুম, চাঁদাবাজী ও অস্ত্র মামলা রয়েছে। গত ৪ বছর পূর্বে রাতের আঁধারে নিহত জুয়েল প্যাদা সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে কে বা কাহারা তাহাকে কোপাইয়া ক্ষত-বিক্ষত করে। আমি জানিনা। নিহত জুয়েল প্যাদা চিকিৎসার ১০ দিন পরে তিনি মৃত্যুবরন করেন। এ বিষয় কতিপয় সন্ত্রাসী লোকজন নিজেদের অপকর্ম আড়াল করার জন্য উক্ত মামলায় আমি সহ আমার ১৬ জন ব্যক্তির নাম লিপিবদ্ধ করে কলাপাড়া খানায় হত্যা মামলা করে এবং দ্রুত চার্জশীট দাখিল করে। আমি বিনা কারণে ২১ মাস হাজত বাসের পরে বর্তমানে জামিনে মুক্ত আছি। মামলাটি বর্তমানে কলাপাড়া কোর্টে চলমান।
তিনি আরও বলেন, আমি না’কি নিহত জুয়েল প্যাদার হত্যা মামলা প্রত্যাহার করার জন্য তাহার পরিবারের লোকজরে উপর ভয়-ভীতি ও হুমকী প্রদান করছি। যাহা সম্পূর্ন মিথ্যা । অথচ আমি ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে কাজ করার কারণে নিহত জুয়েল প্যাদার পরিবারের লোকজন এবং বর্তমান চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান সুজন মোল্লা স্বয়ং নিজে নির্বাচনের দিন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হইয়া আমার উপর অক্রোমন করে। নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের জয় হলে পরের দিন আমরা মাননীয় সংসদ সদস্য সাহেবের সাথে দেখা করার জন্য রওয়ানা হয়ে ছয়লাইন মহাসড়ক ৮নং কালভাট এলাকায় পৌঁছলে চেয়ারম্যান সুজন মোল্লার নেতৃত্বে জনাব মোঃ খোকন প্যাদা, তুহিন প্যাদা সহ ৩০/৩২ জন মহিলা পুরুষ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হইয়া আমাদের উপর অতর্কিত হামালা চালায়। এতে আমি, বশির চৌকিদার, শিপন, ইদ্রিস, আকিব, সোহেল, মিজানুর সহ অনেকে গুরুতর আহত হই। আমরা চিকিৎসার জন্য কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি হই এবং নিরাপত্তার জন্য কলাপাড়া থানায় অভিযোগ দাখিল করি। বশির চৌকিদারের শরীরে ৩০টির অধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাত থাকায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। প্রতিপক্ষের লোকজন এতেও ক্ষান্ত হয়নি, তাহার উচ্চ আদালতের মাধ্যমে আগাম জামিন নিয়ে এলাকায় আসে এবং জনৈক হিরন মোল্লার বসতঃ ঘর ও ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ অফিসটি পোড়াইয়া দেয় এবং জামাল নন্তির বসতঃ ঘরখানা কোপাইয়া ভাংচুর করে এবং ঘরে থাকা মালামাল লুটপাট করে। এ বিষয় প্রমান সহ কলাপাড়া আদালতে মামলা চলমান রয়েছে বলে সাংবাদিক সম্মেলনে উল্লেখ করেন।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply