বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩, ০৬:৪২ পূর্বাহ্ন
বিশ্বাস শিহাব পারভেজ মিঠুঃ
কলাপাড়ায় অভিন্ন কৌশলে কৃষকের ধান চুরি। সাগর পাড়ের কৃষকদের দিন যতই যাচ্ছে ততই আমন ধানকাটায় ব্যাস্তহয়ে পরেছে। আমন ধান এবছর তুলনা মূলক ভাল ফলন হওয়ায় কৃষকদের মুখে খানিকটা হাঁসি ফুটে উঠেছে, তবে ধান বের হওয়ার সময় ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে ধানের শীষ নষ্টহয়ে গেছে অধিকাংশ ধান চিটা হয়েগেছে এর কারনে আশানুরুপ ফসল কৃষকের ঘরে উঠছেনা। কৃষকের মুখের হাসি খানিকটা মান হয়ে গেছে। তার ওপর ধানের বাজার দর আবাদ খরচের চেয়ে অনেক কম হওয়ায় কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়েছে। তার ওপর কতিপয় অসাধু ধান ব্যাবসায়ীরা অ-প্রচলিত ও বে আইনি মাপের কারনে কৃষকের ধান মনে মনে চুরি হচ্ছে এ যেন দেখার কেউনেই। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন থাকলেও বিশেষ করে এ উপজেলায় কৃষকের ধান প্রতি মনে কাঠের দাড়ি পাল্লার মাধ্যমে মেপে নেয়ায় প্রতি ৪০ কেজির এক মনে ৪৬ কেজি থেকে ৫০ কেজি হাড়ে কৃষকের ধান বিক্রী করতে হচ্ছে। যুগ যুগ ধরে এ প্রথা চলে আসছে এবং সনাতনি বাটখারার প্রচলন এখনও রয়েগেছে এ উপজেলায়। এব্যাপারে প্রশাসন কোন পদক্ষেপ নিয়েছে বলে এমন ঘটনা কেউ দেখেনি। কৃষকের দাবি দেশের অন্য সব প্রচলিত মাপের মাধ্যমে এখানেও এই নিয়মে ধান ক্রয় করা হোক। আড়ৎদার ফড়িয়া ও দালালরা কাঠের দাড়িপাল্লার মাধ্যমে ধান ক্রয় করায় প্রতি ১০০ মনে ১০-১২ মন ধান বেশি নেয় বা চুরি হয়ে যায় কৃষকের উৎপাদিত ধান। এসব ধান ক্রয় -বিক্রয়ের সাথে জড়িতরা কৃষকের উঠান থেকে কাঠের দড়িপাল্লার সাহায্যে ধান মেপে এনে অন্যত্র বিক্রীর ক্ষেত্রে ৪০ কেজি হাড়ে ০১ মন ধরে বিক্রী করা হয়।এ ক্ষেত্রে কৃষকের উৎপাদিত ধান মনে মনে চুরি হয়ে গেলেও ঐ ধানের টাকা পান না কৃষকরা। চলতি মৌসুমের শুরুতে প্রতি মন ধান ৫০০ থেকে ৫৮০ টাকায় বিক্রী করছে কৃষকরা। এ টাকায় বিক্রী করে উৎপাদিত মূল্যের অনেক কমে বিক্রী করায় কৃষকের মাথায় হাত। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানাযায়,এবছর কলাপাড়া উপজেলায় ৩৪ হাজার ৪৯০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ,২৪ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল ও ১০ হাজার ১৪০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় ধান চাষ করেছে কৃষকরা।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply