আমতলী প্রতিনিধিঃ
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রামণ রোধে গণজমায়েত না হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সরকার। স্থানীয়দের অভিযোগ হাট ইজারাদার সরকারী নির্দেশনা উপেক্ষা করে বরগুনার আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর বন্দরে বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক হাট বসেছে। ওই হাটে অন্তত পাচ হাজার লোক জমায়েত হয়েছে। এতে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পরার আশঙ্কায় দ্রুত প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকরা।
জানাগেছে, করোনা ভাইরাস রোধে সরকারী গণজমায়েতের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। ওই সরকারী নির্দেশনা উপেক্ষা করে বরগুনার আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর বন্দরে বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক হাট বসেছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন হাট ইজারাদারের লোকজন সরকারের নির্দেশনার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এ হাট বসিয়েছেন। সকাল থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত জমছে ওই হাট। হাটে অন্তত পাঁচ হাজার লোক জমায়েত হয়েছে। হাটে আসা লোকজন ধুমছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করছে। হাটে হাজার হাজার লোক জমায়েত হওয়ায় সামাজিক দুরত্ব বজায় থাকছে না। এতে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা করেছে সচেতন নাগরিক। এদিকে ওইদিন সকালে হাটে গণজমায়েতের খবর পেয়ে নৌবাহিনী ও পুলিশ ওই গিয়ে লোকজনকে ধাওয়া করেছে। কিন্তু নৌবাহিনী ও পুলিশের ধাওয়া মানছে না লোকজন। নৌবাহিনী ও পুলিশ সরিয়ে আসার পরপরই লোকজন আবার জমায়েত হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, হাট ইজারাদার আজিজুল হক রত্তন মাষ্টার, আবদুস সোবাহান মৃধা, শাহ আলম মোল্লা ও আবদুল ওহাব হাওলাদার সরকারের নির্দেশনার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে হাট বসিয়েছেন। তারা ইচ্ছা করলে হাট না বসিয়ে পারতেন।
আমতলী উপজেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি এ্যাড.এমএ কাদের মিয়া বলেন, করোনা ভাইরাস রোধে গণজমায়েত হওয়া মোটেও কাম্য না। এর বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানাই।
গাজীপুর বন্দর হাট ইজারাদার মোঃ আজিজুল হক রত্তন মাষ্টার বলেন, হাট ইজারায় আমার একটি অংশ রয়েছে। আমি একা ইচ্ছা করলে সাপ্তাহিক হাট বন্ধ করতে পারি না। তিনি আরো বলেন, সকালে নৌ-বাহিনীর লোকজন এসে লোকজনকে ধাওয়া করেছে। নৌ-বাহিনী চলে যাওয়ার পর লোকজন আবার জমায়েত হয়েছে।
গাজীপুর পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ সরোজিত কুমার দে বলেন, সকালে নৌ-বাহিনী ও পুলিশ গিয়ে গণজমায়েত হওয়া লোকজন সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন বলেন, গণজমায়েত বন্ধে দ্রুত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, নৌ-বাহিনী ও পুলিশ পাঠিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
Leave a Reply