
রাসেল মোল্লাঃ
কলাপাড়ায় করোনাভাইরাসের কারণে মানুষের স্বাভাবিক জীবন ব্যবস্থা স্থবির হয়ে পড়ায় প্রথমদিকে শাক-সবজিসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেলেও বর্তমানে শাক সবজির দাম কিছুটা হলেও কমতে শুরু করেছে। এর পাশাপাশি পৌর শহরের বাজারগুলোতে ক্রেতাদের উপস্থিতিও আগের থেকে অনেক কম বলে জানান বিক্রেতারা।
শনিবার সকালে কলাপাড়া পৌর শহরের লঞ্চ ঘাট সংলগ্ন সবজির বাজারে দেখা যায় সবজির সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকায় দাম কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহের থেকে প্রতিটি সবজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে বলে জানান বিক্রেতারা।
বর্তমানে প্রতি কেজি বাঁধাকপি ২০টাকা, বেগুন ৩০টাকা, ফুলকপি ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, করোল্লা ৩৫ টাকা, পটল ৬০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, ঝিঙ্গা ৫০ টাকা, শসা ২০ টাকা, বড় , গাজর ৩০ টাকা, জালি কুমড়া ২০ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা এবং কুমড়া ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
কথা হয় কাঁচা বাজারে আসা ক্রেতা মহিদুল ইসলাম, শাওকাত হোসেন, জিয়াউর রহমান ও কামাল হোসেন এর সাথে তারা বলেন,করোনা ভাইরাসের শুরুতে কলাপাড়া কাঁচা বাজারে তারকারীর দাম কিছু টা বেশি ছিল। বর্তমানে কলাপাড়া উপজেলা নীলগঞ্জ, চাকামইয়া, মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন এর সবজি বাজারে আসায় দাম আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। আমরা সবজি কিনতে পারছি কম দামে ।এছাড়া উপজেলা প্রশাষনে ও পৌরসভা কতৃক মনিটরিং থাকায় আমাদের মত নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের নাগালে আছে সবজি সহ পিয়াইজ আলুর দাম।
কলাপাড়া পৌর মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার বলেন, আমরা পৌর সভার পক্ষে থেকে প্রতিদিন বাজার মনিটরিং করি আগের চেয়ে সবজি দাম অনেক কম তাই ক্রোতাদের কোন অভিযোগ নাই।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, ‘বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম স্থিতিশীল রাখতে বাজারগুলোতে কঠোর মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া বাজার নিয়ন্ত্রণ রখতে কলাপাড়া উপজেলার সকল হাটে টিসিভির পন্য বিক্রি করা হবে। কোন পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি করে কেউ বিক্রি করলে তাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা হচ্ছে।’
Leave a Reply