আমতলী প্রতিনিধিঃ
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে নিত্যপন্য সামগ্রীর সংঙ্কট দেখা দেয়। এ সংঙ্কট উত্তোরনের জন্য সরকার আমতলীকে টিসিবি পন্য বিক্রি করছে। ইউএনও মনিরা পারভীন টিসিবি পন্য বিক্রির তদারকি করছেন। বুধবার পন্য বিক্রির তিন ঘন্টার মধ্যের পন্য শেষ হয়ে গেছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় ক্রেতারা পন্য না পেয়ে ফিরে গেছেন। পন্য সরবরাহ বৃদ্ধির দাবী ক্রেতাদের।
জানাগেছে, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে আমতলীতে নিত্যপন্য সামগ্রীর প্রচুর সংঙ্কট দেখা দেয়। এ সংঙ্কট থেকে উত্তোরনে সরকার গত ১২ এপ্রিল থেকে টিসিবি পন্য বিক্রি শুরু করেন। প্রতিদিন এক হাজার লিটার তেল, এক হাজার কেজি চিনি, ৫’শ কেজি ছোলাবুট, ১’শ ৫০ কেজি মুসুরী ডাল, ৭০ কেজি খেজুর বরাদ্দ দেয় টিসিবির আ লিক কার্যালয় বরিশাল। কিন্তু চাহিদার তুলনায় আমতলীতে টিসিবি’র পন্যের সরবরাহ অনেক কম। ক্রেতারা পন্য সরবরাহের দাবী জানিয়েছেন। বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টায় আমতলী পৌর শহরের নুরজাহান ক্লাবের সামনে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যে টিসিবি পন্য বিক্রি শুরু হয় কিন্তু দুপুর দেড়টার মধ্যেই পন্য বিক্রি শেষ হয়ে যায়। অনেক ক্রেতা পন্য না পেয়ে ফিরে গেছেন। ক্রেতারা বেশী পরিমান পন্য সরবরাহের দাবী জানিয়েছেন।
ক্রেতা জাফর মিয়া বলেন, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যে টিসিবির পন্য ক্রয় করেছি। এ ধারারাহিকতা অব্যাহত রাখার দাবী জানাই।
মাইনুল ইসলাম বলেন, চাহিদার তুলনায় পন্যের সরবরাহ অনেক কম। দ্রæত বেশী পন্য সরবরাহের দাবী জানাই।
ফিরে যাওয়া ক্রেতা নিজাম মিয়া বলেন, টিসিবির পন্য বিক্রির খবর পেয়ে পন্য ক্রয় করতে গিয়েছিলাম কিন্তু যাওয়ার আগেই বিক্রি শেষ হয়ে গিয়াছে তাই ফিরে এসেছি। তিনি আরো বলেন, চাহিদার তুলনায় আমতলীতে পন্য সরবরাহ কম। দ্রæত চাহিদা অনুসারে পন্য সরবরাহের দাবী জানাই।
আমতলী উপজেলার টিসিবি’র ডিলার আবদুস সোবাহান লিটন বলেন, প্রতিদিন যে পরিমান পন্য দেয়া হয় তা দিয়ে আমতলীর মানুষকে পোষানো সম্ভব নয়। প্রতিদিন অন্তত দেড় থেকে দুই হাজার মানুষের টিসিবির পন্য ক্রয়ের চাহিদা রয়েছে কিন্তু সরবরাহ পেয়ে থাকি মাত্র পাচ’শ থেকে সাত’শ লোকের। সপ্তাহে পাঁচ দিন এ পন্য বিক্রি করে থাকি। মানুষ পন্য ক্রয় করতে এসে না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে।
বরিশাল টিসিবির আ লিক কার্যালয়ের ডেপুটি সিনিয়র নির্বাহী অফিসার মোঃ আনিসুর রহমান বলেন, টিসিবির পন্য ক্রয়ের চাহিদা অনেক কিন্তু টিসিবির কেন্দ্রিয় অফিসের নির্দেশনার বাহিরে কিছুই করার নেই। পরবর্তি নির্দেশনা পেলে সেই অনুসারে পন্য সরবরাহ করা হবে।
Leave a Reply