বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:০৭ অপরাহ্ন
রাসেল মোল্লাঃ
“শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ” এ স্লোগানকে সামনে রেখে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় দশ টাকা মূল্যের চাল বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় দেশ লকডাউনে থাকায় খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষগুলো চড়ম ভোগান্তিতে পরেছে।
তাদের সহায়তার জন্য সরকার বিভিন্ন ধরনের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় দশ টাকা মূল্যে জনপ্রতি ত্রিশ কেজি চাল বিতরণও করা হচ্ছে।
দেশের বিভিন্ন জায়গায় এ চাল বিতরণকে কেন্দ্র করে আত্মসাতের অভিযোগও পাওয়া যায়। আবার কোথাও কোথাও হয়রানিমূলক মিথ্যা অভিযোগের কথাও শোনা যাচ্ছে।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধুলাসার ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ডিলার মহিউদ্দিন খোকনকে নিয়ে রোববার কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে চাল আত্মসাতের বিষয়ে লেখালেখি হয়। যা একান্তই মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও হয়রানীমূলক বলে দাবী করেন ডিলার মহিউদ্দিন খোকন। তার দাবী, চাল বিতরণের জন্য সরকার নির্ধারিত সময় ছিল ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ৭৩৮ জন কার্ডধারী উপকারভোগীদের মধ্যে ৭০৬ জনের চাল বিতরণ করা হয়েছিল। বাকী ৩২ জনের চাল গোডাউনে মজুদ ছিল এবং চাল বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত ছিল। কিন্তু একটি কুচক্রিমহল আমার নামে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদকর্মীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। মহিউদ্দিন খোকন তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবী জানান।
সোমবার ধুলাসার ইউনিয়নে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার মহিউদ্দিন খোকন প্রতিদিনকার মত তার গোডাউনে বসে চাল বিতরণ করছে। সাধারন মানুষগুলো সাড়িবদ্ধ হয়ে লাইনে দাড়িয়ে দশ টাকা মূল্যের চাল ক্রয় করছে।
উপকারভোগীদের সকলের নামের একটি তালিকা ডিলারের ঘরের দেয়ালে লাগানো দেখতে পাওয়া যায়। এসময় চাল বিতরণের দায়িত্বরত ট্যাগ অফিসার ও চড় চাপলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. জাকির হোসেন, ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার মো. আনোয়ার হোসেন ফকির, স্থানীয় মহিলা মেম্বার লায়লা রহমানের স্বামী ও বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. মশিউর রহমানসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিগন উপস্থিত ছিলেন।
দশ টাকা মূল্যের চাল নিতে আসা গঙ্গামতি গ্রামের নিজাম হাওলাদার ও তৈয়ব আলী বলেন, আমাদের এখানে চাল নিয়ে কোন সমস্যা হয়নি। ডিলার মহিউদ্দিন খোকন ভাই অত্যান্ত ভালো মনের মানুষ। তিনি আমাদের প্রত্যেকের বাড়ি বাড়ি খবর পাঠিয়ে চাল নেয়ার জন্য তাগেদ দেন। ডিলার মহিউদ্দিন খোকন জানান, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যদি কেউ চাল ছাড়িয়ে না নেয় তবে অবশিষ্ট চাল রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করে রাখা হবে।
ধুলাসার ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণের দায়িত্বরত ট্যাগ অফিসার ও চড় চাপলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. জাকির হোসেন বলেন, চাল বিতরণের নির্ধারিত সময় হাতে থাকা স্বত্বেও গোডাউন ও রেজিষ্টারের হিসাব না দেখেই সংবাদকর্মীদের কেহ মিথ্যে অভিযোগ দিয়েছে। তবে এ অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। যে চাল আমরা বিতরণ করতে পারিনা তা গোডাউনে এবং রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ থাকে।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply