রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, ০৮:৩৭ পূর্বাহ্ন
রাসেল মোল্লাঃ
সুপার সাইক্লোনে পরিণত হয়ে সরাসরি বাংলাদেশর দিকে অতি প্রবল রূপে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। সোমবার সকাল হতে কলাপাড়া পৌরশহর সহ পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন গুলোতে মাইকিং করা হচ্ছে। এর পর থেকে উপকূলীয় জনগনের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান বাংলাদেশের খুলনা ও চট্রগ্রামের মধ্যবর্তি অঞ্চল দিয়ে মঙ্গলবার (১৯ মে) শেষ রাত থেকে (২০ মে) বুধবার বিকেল অথবা সন্ধার মধ্যে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করবে। বর্তমানে এটি ঘন্টায় ২২০ থেকে ২৪৫ কিলোমিটার বেগে উপকুলের দিকে এগিয়ে আসছে। এতে উপকূল তীরবর্তী মানুষদের ৭ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখানো হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের বেড়ি বাদ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা চারিপাড়া সহ ১১টি গ্রামের প্রায় দুই হাজার পাঁচশ পরিবার জলোচ্ছ্বাস এর আতঙ্কে ভিত সন্ত্রস্ত রয়েছে। কারন বিগত ঘূর্ণিঝড় ও অতিপ্রবল জোয়ারের কারনে এরকম ঘটনা বহুবার ঘটেছে। যেগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মিডিয়ায় পরিলক্ষিত হয়েছে। এছাড়া কলাপাড়া উপজেলা নদী বেস্টিত হওয়ার কারনে চতুর্দিক বেড়িবাদ দ্বারা আবদ্ধ। এই বেড়িবাদ গুলো বিভিন্ন সময় ঘূর্ণিঝড়ের কারনে জলোচ্ছ্বাসের আঘাতে ক্ষতি গ্রস্ত হয়েছে। যেগুলো এখনও অনেক জায়গায় সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। একারনে, উপকূলীয় জনপদে জলোচ্ছ্বাসের আতংক বিরাজ করছে।
এদিকে কলাপাড়া উপজেলা দূর্যোগ ব্যাবস্থাপনা কমিটির এক জরুরী সভা সোমবার সন্ধায় উপজেলা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। কলাপাড়া উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক জানান, উপজেলার ১৬৩ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তত রাখার রাখা হয়েছে। উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান ও দূর্যোগ ব্যাবস্থপনা কমিটির সদস্যদের সর্বদা সজাগ থেকে সমস্ত বিরূপ প্রতিক্রিয়া মোকাবেলা করে উপজেলার সকল বেরি বাঁধের বাহিরের জনগণকে মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্র আনার জন্য বলা হয়েছে। সব আশ্রয় কেন্দ্র খাবার, ঔষধ ও আলোর ব্যাবস্থা রাখার জন্য নিদের্শনা দেওয়ার হয়েছে।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply