মহিপুর মৎস্যবন্দরে একাধিক অবৈধ স্থাপনা উত্তোলন নিয়ে নানা গুঞ্জন | আপন নিউজ

শনিবার, ০৩ Jun ২০২৩, ০৮:৪১ পূর্বাহ্ন

মহিপুর মৎস্যবন্দরে একাধিক অবৈধ স্থাপনা উত্তোলন নিয়ে নানা গুঞ্জন

মহিপুর মৎস্যবন্দরে একাধিক অবৈধ স্থাপনা উত্তোলন নিয়ে নানা গুঞ্জন

বিশেষ আপন নিউজ প্রতিবেদকঃ

পটুয়াখালীর মহিপুর মৎস্য বন্দরে এবার স্থানীয়
ভূমি প্রশাসন ও ক্ষমতাসীন দলের রাঘব বোয়ালদের ম্যানেজ করে শিববাড়িয়া নদী তীরের লঞ্চঘাট সংলগ্ন এলাকার সরকারী জায়গায় কোন রকম অনুমতি ছাড়াই অন্তত: ৮টি ঘর উত্তোলনের কাজ চলছে। প্রকাশ্য দিবালোকে স্থানীয় ভূমি অফিস ও মহিপুর প্রেসক্লাবের মাত্র কয়েক গজের মধ্যে একজন হেভিওয়েট নেতার নেপথ্য কানেকশনে এ ঘর উত্তোলনের কাজ চলায় স্থানীয়দের মধ্যে এ নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। তবে এ মিশনের ভাগ পেয়েছেন হেভিওয়েট ক’রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক, স্থানীয় তহশিল অফিসের কর্তা ও উপজেলা ভূমি প্রশাসন। -এমন অভিযোগ মহিপুর মৎস্য বন্দরের একাধিক সূত্রের।

এদিকে দেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় মৎস্য বন্দর মহিপুর সংলগ্ন শিববাড়িয়া নদীটি ঝড় জ্বলোচ্ছাসে জেলেদের একমাত্র আশ্রয় স্থল। এটিকে জেলেদের জন্য পোতাশ্রয় নির্মানে সরকার ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। এনিয়ে কয়েকদফা সমীক্ষা কার্যক্রম চালিয়েছে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষ। যদিও এ নদীর উপর নির্মান করা হয়েছে শেখ রাসেল সেতু। এতে সেতুর স্প্যানে জোয়ার ভাটার ¯্রােত কিছুটা বাঁধা গ্রস্ত হয়ে নদীর দু’তীর ক্রমশ: পলি জমে যাচ্ছে। যা ড্রেজিং করে জেলেদের জন্য পোতাশ্রয় নির্মানে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া ইতিপূর্বে প্রভাবশালীদের দখল দূষনে পরিবেশ
বাদী সংগঠন বেলা উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করে। যার প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালতের নির্দেশে নদীর দু’তীরে উচ্ছেদ অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন। এতে নদীর তীরে আইনসঙ্গত ভাবে ভূমি অফিস থেকে বন্দোবস্ত পাওয়া চান্দিনা ভিটির মালিকরা দীর্ঘ দিনেও আর নবায়ন পায়নি। যদিও তাদের চান্দিনা ভিটি এখন পর্যন্ত বাতিল করা হয়নি। তবে এনিয়ে স্থানীয় ভূমি অফিস বলছে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বন্দোবস্তকৃত চান্দিনা ভিটির নবায়ন দেয়া যাবেনা। সেই একই নদী তীরে প্রকাশ্য দিবালোকে কিভাবে একত্রে এতগুলো অবৈধ স্থাপনা উত্তোলনের কাজ চলছে, এনিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে ১০ লক্ষ টাকার গোপন মিশনের তথ্য।

দেশের গুরুত্বপূর্ন মহিপুর মৎস্যবন্দরে স্থানীয় মহিপুর তহশিল অফিস ও মহিপুর প্রেসক্লাবের কয়েক গজের মধ্যে এভাবে একাধিক স্থাপনা উত্তোলনের কাজ চললেও এনিয়ে জনস্বার্থে তাদের কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ পরিলক্ষিত না হওয়ায় বিষয়টি স্থানীয়দের ভাবিয়ে তুলছে। তবে স্থানীয়দের ভরসা এখন পরিবেশবাদী সংগঠন বেলা ও উর্ধ্বতন ভূমি প্রশাসন। কেননা বাকীরা সব ম্যানেজ বলছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র।

কলাপাড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) জগৎবন্ধু মন্ডল বলেন, ’মহিপুর মৎস্যবন্দরে অবৈধ স্থাপনা উত্তোলনের বিষয়টি আমি জেনেছি। অবৈধ স্থাপনা উত্তোলনকারীদের তালিকা করে স্থানীয় তহশিলদারকে পাঠাতে বলেছি। তালিকা প্রাপ্ত হয়ে আমি বিষয়টি দেখছি।’

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.




© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com

Design By MrHostBD
error: সাইটের কোন তথ্য কপি করা নিষেধ!!