অরক্ষিত বেড়িবাঁধ, পানিবন্দী কলাপাড়ার লালুয়ার ১৩ গ্রামের মানুষ | আপন নিউজ

শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ০৮:৫৫ পূর্বাহ্ন

প্রধান সংবাদ
বাংলাদেশ অটোরিকশা শ্রমিক লীগ কলাপাড়া উপজেলা শাখার কমিটি অনুমোদন; রাহাত সভাপতি কলাপাড়ার লালুয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ০২ নং ওয়ার্ডের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত কলাপাড়ার লালুয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ১ নং ওয়ার্ডের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত আমতলীতে সুবন্ধির বাঁধ লক্ষাধিক মানুষের মরণ ফাঁদ; কাটার দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল কলাপাড়ায় ধুলাসার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত কলাপাড়ায় দালালদের দাপটে অসহায় রোগী; ডায়াগনস্টিক ও ক্লিনিকের মালিকদের সতর্ক কলাপাড়ার টিয়াখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে পোষ্ট; এবার পর্নোগ্রাফী আইনে মামলা দায়ের আমতলীতে যৌ’তু’ক দিতে অস্বীকার করায় স্ত্রীকে পি’টি’য়ে জ’খ’ম আমতলীতে এক বছরের শিশু পানিতে ডু’বে মৃ-ত্যু
অরক্ষিত বেড়িবাঁধ, পানিবন্দী কলাপাড়ার লালুয়ার ১৩ গ্রামের মানুষ

অরক্ষিত বেড়িবাঁধ, পানিবন্দী কলাপাড়ার লালুয়ার ১৩ গ্রামের মানুষ

রাসেল মোল্লাঃ

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে অন্তত: ১৩টি গ্রাম পানিতে ডুবে গেছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে প্রতিদিন দু’দফা জোয়ারের পানিতে বন্ধ হয়ে গেছে কৃষকদের চাষাবাদ। ভেসে গেছে পুকুর ও ঘেরের মাছ। রান্নার চুলা পর্যন্ত জ্বলছেনা ৬ শত পরিবারের। ফলে মানবেতর জীবনযাপন করছে এলাকার মানুষ।

জানা যায়, অমাবস্যার প্রভাবে উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের অরক্ষিত বেড়িবাধ দিয়ে রাবনাবাদ নদীর জোয়ারের পানি প্রবেশ করে চারিপাড়া, পশরবুনিয়া, ধঞ্জুপাড়া ও নয়াপাড়াসহ ১২/১৩ টি গ্রাম প্রতিদিন প্লাবিত হচ্ছে। এর ফলে ঐ সব গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ঘর-বাড়ীতে পানি ঢুকে পড়ায় অনেকেই অপেক্ষাকৃত উচুঁস্থানে আশ্রয় নিয়েছে। এতে দেখা দিয়েছে চরম খাদ্য সংকট। এছাড়া এক গ্রাম থেকে অপর গ্রামের যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের সংকট। এরপরও পাউবো কিংবা স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নেয়নি কেউ।

লালুয়া ইউনিয়নের চারিপাড়া গ্রামের কৃষক কামাল হোসেন বলেন, লবন পানিতে ক্ষেত খামার তলিয়ে রয়েছে। চাষাবাদও বন্ধ রয়েছে। পানি বৃদ্ধি পেলে ঘরের ভিতর ঢুকে পড়ে। বিশেষ করে অমাবস্যা কিংবা পূর্নিমার জোয়ারের সময়ই এসমস্যা প্রকট আকার ধারন করে।

লালুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস বলেন, এ বাঁধের বিষয় নিয়ে একাধিকবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে। কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বরং অমাবস্যা কিংবা পূর্নিমার জো’তে ইউনিয়নের ১২/১৩ টি গ্রামের মানুষ সবচেয়ে দূর্ভোগে থাকে। এসব মানুষের দূর্ভোগ লাঘবে স্থায়ী টেকসই বাঁধের জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, আমরা উপজেলা প্রশাষন কিছু ত্রান দিয়েছি পানি বন্দী সব পরিবারকে ত্রান দেওয়ার হবে। আপনাদের মাধ্যমে সমাজের বৃত্তবানদের কাছে আমার অনুরোধ তারা লালুয়ার অসহায় পানিবন্দী পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিক।

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com

Design By JPHostBD
error: সাইটের কোন তথ্য কপি করা নিষেধ!!