মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:১৩ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্কঃ
পটুয়াখালী জেলার ৫৮টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ রোগনির্ণয় কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পটুয়াখালীর সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য বিভাগের একটি টিম জেলার ৮টি উপজেলা সরেজমিনে পরিদর্শন করে এ ব্যবস্থা নিয়েছেন।
এর মধ্যে সাতটি প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ বন্ধ ও ৫১টি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ করার জন্য ওইসব প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পটুয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন অফিসের একটি দায়িত্বশীল সূত্র এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কার্যালয় সূত্রটি জানায়, সিভিল সার্জন ডা. মো জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য বিভাগের একটি টিম জেলার ৮টি উপজেলার বেসরকারি ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে নিবন্ধন নেই, চিকিৎসক নেই, প্রয়োজনীয় জনবল নেই ও বিধি বহির্ভুতভাবে পরিচালনার জন্য ৫৮টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার অবৈধ হিসেবে শনাক্ত করেন এবং এই ৫৮টি প্রতিষ্ঠান বন্ধের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য পটুয়াখালী জেলায় মোট ১৪৯টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে।
একটি সূত্র জানায়, কলাপাড়া উপজেলায় বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে ২১টি। এর মধ্যে ১৭টিই অবৈধভাবে চলছিল। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- গ্রিন লাইভ ক্লিনিক অ্যান্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বিএইচএম ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নিউ মেডিনোভা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, গ্রামীণ কল্যাণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র, সাউথ পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নিউ হেলথ কেয়ার ক্লিনিক, নিউ বসুন্ধরা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, লাইফ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মেডিলা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, গ্রিন লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ডিজিটাল অ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ইসলামিয়া ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মুক্তি ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ল্যাব এশিয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টার, কুয়াকাটা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, কুইক কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও পানামা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার ।
রাঙ্গাবালী উপজেলার ১৪টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। তবে এগুলোর একটিরও নিবন্ধন নেই, এমনকি নেই চিকিৎসকও। এই অবস্থায় এই ১৪টি প্রতিষ্ঠানকেই সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- ছোয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ইউনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নাহিদ মেডিকেল হল, নাগরিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার, রাঙ্গাবালী-চরমোন্তাজ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সিয়াম মেডিকেল হল, আফরোজা মেডিকেল হল, মামুন মেডিকেল হল, মা-বাবা মেডিকেল হল, মুন মেডিকেল হল, মৌডুবি মেডিকেল হল, অমিত ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও চর মোন্তাজ ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
দুমকিতে বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে সাতটি। কাগজপত্র ঠিক না থাকায় সবগুলো প্রতিষ্ঠান সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে, দি প্যাথলজি সেন্টার, পপুলার প্যাথলজি সেন্টার, রামিম ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সুরক্ষা মেডিকেল সার্ভিসেস, ফোরসাইড ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং মেডিকেয়ার ডক্টরস চেম্বার অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
গলাচিপায় ২০টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মধ্যে ছয়টি নিবন্ধন ছাড়া কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ায় তা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এগুলো হচ্ছে কাটাখালী ডায়াগনস্টিক সেন্টার, চিকনিকান্দি ডায়াগনস্টিক সেন্টার, চরকাজল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, চরবিশ্বাস ডায়াগনস্টিক সেন্টার, খারিজ্জামা ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং গ্রামীণ কল্যাণ আমখোলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply