গলাচিপায় ট্রিপল মার্ডারের প্রধান আসামি গ্রেফতার | আপন নিউজ

রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫১ পূর্বাহ্ন

প্রধান সংবাদ
কলাপাড়ায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ওয়ার্ড শ্রমিক দল সভাপতি কে পি-টি’য়ে জ-খ’ম কলাপাড়ায় ২১ বছর পর (বাশিস)’র কমিটি গঠন আমতলীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের মাটি ইটভাটায়; ঝুঁকিতে ছয় গ্রামের মানুষ কলাপাড়ায় ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত কীর্তনখোলায় স্পিডবোট ডুবিতে নিখোঁজ ৩ জনের সন্ধান এখনো মেলেনি ইস্কন নি-ষি’দ্ধ ও ভারতীয় অপপ্রাচারের প্রতি-বা’দে বাউফলে বি-ক্ষো’ভ ও সমা’বে’শ আমতলীতে ব্যবসায়ী যুবকের আ-ত্মহ-ত্যা’র ঘটনায় স্ত্রী ও শ্বশুরের বিরুদ্ধে মা’ম’লা; স্ত্রীর ভাই গ্রে-প্তা’র আমতলীতে সাংবাদিককে কু-পি’য়ে জ-খ’ম’র ঘটনার প্রধান আ’সা’মী জেল হাজতে আমতলীতে তিন্নি হ-ত্যার ঘটনায় মা-ম’লা; ঘা-তক স্বামী ও শ্বাশুড়ীকে জেল হাজতে প্রেরন বানারীপাড়ায় জুলাই-আগস্টের শহীদদের স্মরনে পরিবারদের সাথে স্মরনসভা
গলাচিপায় ট্রিপল মার্ডারের প্রধান আসামি গ্রেফতার

গলাচিপায় ট্রিপল মার্ডারের প্রধান আসামি গ্রেফতার

গলাচিপা প্রতিনিধিঃ

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের ছৈলাবুনিয়া গ্রামে ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় প্রধান আসামি শহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (১২ অক্টোবর) সকালে পটুয়াখালী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। গত ১০ অক্টোবর ঢাকা জেলার অন্তর্গত সাভার থেকে শহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মো. মইনুল হাসান জানান, ২০১৭ সালের ২ আগস্ট গলাচিপা আমখোলা ইউনিয়নের ছৈলাবুনিয়া গ্রামে নির্জন ঘরে বিভৎস অবস্থায় তিনজনের মৃতদেহ পাওয়া যায়। নিহত দেলোয়ার মোল্লা (৬৫), তার স্ত্রী পারভীন বেগম (৬৫) এবং পালিত কন্যা কাজলী আক্তারকে (১৫) বসত ঘরে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই ইদ্রিস মোল্লা বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ৩ আগস্ট অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। একই ঘটনায় দেলোয়ার মোল্লার বোন পিয়ারা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত ১৫ জনকে আসামি করে গলাচিপা আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি সংযুক্ত করে পুলিশকে তদন্ত করার জন্য আদেশ দেন। এরপর তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৯ অক্টোবর ঢাকার পল্লবী থানাধীন বাউনিয়াবাধ এলাকা থেকে মোহাম্মদ আবু রায়হানের কাছ থেকে নিহত কাজলী আক্তারের খোয়া যাওয়া নোকিয়া ১২৮০ মডেলের মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আবু রায়হান জানান তার বাড়ি বরিশাল জেলার হিজলা থানা এলাকায়। ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে তার ফুপুর ননদের স্বামী শহিদুল ইসলাম তাকে এই মোবাইলটি দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় মামলার তদন্তকারী অফিসার গলাচিপা থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে সাভার থেকে গত ১০ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় একটি ভাড়া বাসা থেকে শহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সুপার জানান, শহিদুল ইসলাম তার নাম পরিবর্তন করে জাহাঙ্গীর রাখেন। ওই নামে একটি ভাড়া বাসায় প্রথম স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করছিলেন এবং অটোরিকশা চালাতেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শহিদুল ইসলাম হত্যার বিষয় স্বীকার করেছেন। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রেফতার শহিদুল ইসলামকে আজ আদালতে হাজির করা হবে। তবে কী কারণে এই ট্রিপল মার্ডারের ঘটনা ঘটে সে বিষয়ে কিছুই জানায়নি পুলিশ।

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com

Design By JPHostBD
error: সাইটের কোন তথ্য কপি করা নিষেধ!!