![](https://aponnewsbd.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
আমতলী প্রতিনিধিঃ
অপহরনের ১০ দিন পর বরগুনার আমতলী উপজেলার মানিকঝুড়ি গ্রাম থেকে লামিয়া নামের এক অপহৃতাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার অপহৃতাকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি শেষে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
জানাগেছে, উপজেলার মানিকঝুড়ি গ্রামের বাহাদুর আকন ঢাকা থাকেন। তার একমাত্র কন্যা লামিয়া আক্তার চাচা নাশির আকনের বাড়ীতে বসবাস করেন। লামিয়াকে একই গ্রামের মাহবুব হাওলাদারের ছেলে রানা হাওলাদার গত দের বছর পূর্বে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। ওই প্রস্তাব প্রত্যাখান করে সে। এতে ক্ষিপ্ত হয় রানা। পরে তাকে রানা বিভিন্ন ভাবে উত্যাক্ত করে। রানার যন্ত্রনা সইতে না পেরে অভিভাবকরা লামিয়াকে গত ৯ মাস পূর্বে আড়পাঙ্গাশিয়া গ্রামের আনোয়ার হাওলাদারের ছেলে বশির হাওলাদারের সাথে বিয়ে দেয়। কিন্তু বিয়ের পরও রানার যন্ত্রনা থেকে রক্ষা পায়নি লামিয়া। গত ৭ অক্টোবর লামিয়া পাশর্^বর্তী কলাপাড়া উপজেলার চাকামইয়া গ্রামের নানা জলিল দফাদারের বাড়ী থেকে অটো-রিক্সায় তার চাচার বাড়ীতে আসতেছিল। পথিমধ্যে মানিকঝুড়ি গ্রামের মাসুম মোল্লা বাড়ীর সামনে পৌছলে বখাটে রানা ও তার সহযোগী মাসুম মোল্লা লামিয়ার পথরোধ করে জোড়পূর্বক মোটর সাইকেলে তুলে অপহরন করে নিয়ে যায়। ্এরপর গত ১০ দিন ধরে লামিয়া নিখোঁজ ছিল। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে তার চাচা নাশির আকন বাদী হয়ে বখাটে রানা হাওলাদারকে প্রধান আসামী করে দুই জনের নামে আমতলী থানায় অপহরন মামলা দায়ের করেন। ওই রাতেই পুলিশ অপহৃতা লামিয়াকে বখাটে রানা হাওলাদারের বাড়ী থেকে উদ্ধার করে। কিন্তু আসামী রানাকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। শনিবার পুলিশ লামিয়াকে ২২ ধারায় জবানবন্দির জন্য আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেছে। আদালতে জবানবন্দি শেষে তার ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মামলার বাদী নাশির আকন বলেন, আমার ভাতিজি লামিয়াকে রানা হাওলাদার দীর্ঘদিন ধরে উত্যাক্ত করে আসছিল। রানার যন্ত্রনা সইতে না পেয়ে তাকে বিয়ে দেই। কিন্তু তারপরও রানা তাকে অপহরন করে নিয়ে যায়। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, অপহৃতা লামিয়াকে উদ্ধার করেছি। আদালতে জবানবন্দি শেষে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য তাকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply