মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫২ পূর্বাহ্ন
আমতলী প্রতিনিধিঃ জমি দখলে রাতের আধারে হালিম খান, আলী খান ও আজিম খাঁন তাদের সহযোগীরা জোরপুর্বক ঘর নির্মাণ ও গাছ রোপন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মাণ সামগ্রী উদ্ধার করে স্থানীয় এক শিক্ষকের জিম্মায় রেখে এসেছে পুলিশ। ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার রাতে আমতলী পৌর শহরের পশ্চিম কালীবাড়ী এলাকার ওয়াবদা সড়কে।
জানাগেছে, গত এক’শ বছর ধরে রেজাউল করিম খান ও তার পরিবারের লোকজন পৌর শহরের পশ্চিম কালিবাড়ী এলাকার ওয়াবদা সড়ক সংলগ্ন ঘটখালী মৌজার ৩৫ খতিয়ানের এক একর ৫৭ শতাংশ জমি ভোগদখল করে আসছে। গত তিন মাস পুর্বে ওই জমি হালিম খাঁন, আলী খাঁন ও আজিম খাঁন তাদের দাবী করেন। শুক্রবার রাতে তিন ভাই প্রভাবখাটিয়ে অর্ধ শতাধিক লোক নিয়ে ওই জমি দখল করতে টিন সেডের ঘর নির্মাণ ও গাছ রোপন করে। এ সময় রেজাউল করিম খাঁন বাঁধা দিলে তাকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করে তারা। তাদের ভয়ে রেজাউল করিম খাঁন তার ঘরে আশ্রয় নিলে হালিম খান ও তার লোকজন ঘরে আটকে রাখে এমন দাবী রেজাউল করিম খাঁনের। নিরুপায় হয়ে তিনি আমতলী থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যান। পরে পুলিশ ঘর নির্মাণ সামগ্রী উদ্ধার স্থানীয় শফিক মাস্টারের জিম্মায় রেখে আসেন। এ ঘটনায় শনিবার আমতলী থানায় রেজাউল খাঁন অভিযোগ দিয়েছেন।
জমির মালিক মোঃ রেজাউল খান অভিযোগ করে বলেন, আমার দাদার সম্পত্তি গত এক’শ বছর ধরে ভোগদখল করে আসছি। হালিম খান, আলী খান ও আজিম খান অর্ধ শতাধিক লোক নিয়ে জমি দখল করতে রাতের আধারে ঘর নির্মাণ ও গাছ রোপন করেছে। তিনি আরো বলেন, এ জমি নিয়ে হালিম খাঁন বরগুনার আদালতে রেকর্ড সংশোধনের জন্য মামলা করেন কিন্তু মামলায় হেরে যাওয়ার ভয়ে জমি দখলে ঘর নির্মাণ করেন। তিনি আরো বলেন, আমি ঘর নির্মাণে বাঁধা দিলে আমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ধাওয়া করে। আমি তাদের ভয়ে ঘরে আশ্রয় নেই। তারা আমাকে ঘরের মধ্যে আটকে রেখে ঘর নির্মাণ করেছে।
আলী খাঁন বলেন, জমিতে ঘর নির্মাণের কথা অস্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। তবে উভয় পক্ষকে মিমাংশার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কেউ আমার কথা শুনে না।
হালিম খাঁনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মেয়ে নাদিয়া খানম ফোন রিসিফ করেন কিন্তু সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোনের সংযোগ বিছিন্ন করে দেন।
আমতলী থানার এস আই শহীদুল আলম বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘর নির্মাণ সামগ্রী উদ্ধার করে স্থানীয় শফিকুল ইসলাম মাষ্টারের জিম্মায় রেখে এসেছি।
আমতলী থানার ওসি (তদন্ত) রনজিৎ কুমার সরকার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply