গলাচিপায় বিয়ের দাবীতে ছেলের বাড়ীতে মেয়ের অনশন | আপন নিউজ

বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৭:৩৮ অপরাহ্ন

প্রধান সংবাদ
মানুষের কৃতকর্মে বিষাক্ত হয়ে উঠছে পৃথিবী গলাচিপায় সীসা দূষণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যকর্মী গলচিপায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার কলাপাড়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুই নারীকে পি’টি’য়ে জ’খ’ম কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিতি হবে আগামী ৫জুন গলাচিপায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুরগী ব্যবসায়ীকে মা’রধ’র গলাচিপায় অপার সম্ভাবনাময় সু-স্বাদু মুগডাল যাচ্ছে জাপানে গলাচিপায় ঝিলিক সমাজ উন্নয়ন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালকের সংবাদ সম্মেলন রাঙ্গাবালীতে ভয়ংকর ‘টর্পেডো’ খালে ভেসে আসায় জনমনে আতঙ্ক এক পায়ে লাঠি ভর করে প্রথম ভোট দিতে পেরে খুশি শারীরিক প্রতিবন্ধী আখিনুর
গলাচিপায় বিয়ের দাবীতে ছেলের বাড়ীতে মেয়ের অনশন

গলাচিপায় বিয়ের দাবীতে ছেলের বাড়ীতে মেয়ের অনশন

গলাচিপা প্রতিনিধিঃ

পটুয়াখালীর গলাচিপায় বিয়ের দাবীতে ছেলের বাড়ীতে মেয়ের অনশনের ঘটনা ঘটছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের চর কপালবেড়া গ্রামের ৯নং ওয়ার্ডে। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের চর কপালবেড়া গ্রামের সাহেব আলী পাঠানের পুত্র ইউসুফ আলী পাঠান (২৩) এর সাথে একই গ্রামের মন্নান মৃধার কন্যা ডালিয়া আকতারের (১৮) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায় ইউসুফ আলী পাঠান ডালিয়া আকতারকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে দৈহিক সম্পর্ক করে আসছে। আজ-কাল বিয়ে করবে বলে প্রতারনা করে সময় ক্ষেপন করে আসছে প্রেমিক ইউসুফ আলী পাঠান। ইউসুফ আলী পাঠানের প্রতারনা বুঝতে পেরে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকা ডালিয়া আকতার অবশেষে প্রেমিকের বাড়ীতে গত বুধবার সকাল থেকে অনশন করে আসছে। এ বিষয়ে অনশনকারী প্রেমিকা ডালিয়া আকতার বলেন, আমি গরিব মানুষ। আমার বাবা একজন কৃষক। আমি ঢাকায় গার্মেন্টেসে চাকুরি করতাম। করোনা ভাইরাসের লক ডাউনের শুরু থেকে আমি আমার গ্রামের বাড়ি চলে আসি। বাড়ি আসার পর থেকে আমার মোবাইল নম্বর ইউসুফ আলী পাঠান সংগ্রহ করে আমার সাথে মোবাইলে কথা বলে এবং বিয়ের প্রলোভন দেখায়। এরপর আমার বাড়ির গাছের সাথে গলায় দড়ি দিবে বলে আমাকে মানসিকভাবে ব্যাপক মেইল করে। পরে সে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে বাধ্য করে। ডালিয়া আকতারের বাবা মন্নান মৃধা জানান, আমার চার মেয়ে। কোন ছেলে নাই। ঘরে আমার স্ত্রী ব্রেন অপারেশনের পর অসুস্থ অবস্থায় এক বছর পর্যন্ত ঘরে আছে। ডালিয়া আমার ২য় মেয়ে। বুধবার থেকে শনিবার বিকাল পর্যন্ত সাহেব আলী পাঠানের পুত্র ইউসুফ আলী পাঠানের বাড়ি গিয়ে উঠেছিল। চেয়ারম্যান আমাকে ডেকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আমার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। আমি একজন গরিব মানুষ। কি করব এখন ভেবে পাচ্ছি না। ইউসুফ আলী পাঠানের বাবা সাহেব আলী পাঠান বলেন, আমার ছেলে যদি দোষী হয় আমি দোষ মেনে নেব। চেয়ারম্যান আমাকে ডেকে ছেলেকে আমার হাতে দিয়েছে। বুধবার দু’পক্ষকে ডেকে ৬ জন গন্যমান্য ব্যক্তিকে সালিশি মানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা যে সিদ্ধান্ত দেন তা আমি মেনে নেব। ইউপি সদস্য সাহাবুদ্দিন হাওলাদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। চরকাজল ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রুবেল মোল্লা বলেন, বিষয়টি শুনে চৌকিদার পাঠিয়ে দু’পক্ষকে মেয়ে ছেলেসহ ইউনিয়ন পরিষদে ডাকা হয়েছে এবং দু’পক্ষের সাথে এলাকার ৬ জন সালিশদার থেকে যেভাবে ভাল হয় সেভাবে করবেন বলে জানান। এ বিষয়ে গলাচিপা থানার এসআই নজরুল রাঢ়ী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com

Design By JPHostBD
error: সাইটের কোন তথ্য কপি করা নিষেধ!!