মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০৩:২৯ পূর্বাহ্ন
আপন নিউজ ডেস্কঃ
কলাপাড়ায় দিনভর স্বামীর বর্বর নির্যাতনে নিহত গৃহবধূ সালমার বাবা সোহরাব গাজীর দায়ের করা হত্যা মামলা তুলে নেয়ার জন্য আদালতের সামনেই প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত বুধবার অভিযুক্ত স্বামী এমাদুলের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এসময় মামলা প্রত্যাহারের হুমকি দেয়া হয় বলে নিহত বাবা সোহরাব গাজী গণমাধ্যমকে জানান।
মামলার বিবরন ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ১৮ অক্টোবর সালমাকে দিনভর নির্যাতন করা হয়। এক পর্যায়ে পাষন্ড স্বামী এমাদুল সালমার বামচক্ষু বরাবর মুখমন্ডলে ইটের বেধড়ক আঘাত করে। গভীর রাতেই সালমা মারা যায়। হত্যাকান্ড ধামাচাপা দিতে সালমার মৃতদেহের গলায় রশি বেঁধে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে অপপ্রচার চালানো হয় আত্মহত্যার। এ ঘটনায় নিহতের বাবা কলাপাড়া থানায় হত্যা মামলা করলে পুলিশ সালমার রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে। গ্রেফতার করেন পাষন্ড স্বামী এমাদুলকে। হত্যা রহস্য উদঘাটনে পুলিশ আদালতে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। বিজ্ঞ আদালত দুই দিনের রিমান্ড বুধবার মঞ্জুর করেন। এসময় আদালতের বাইরে থাকা নিহত সালমার বাবা সোহরাব গাজীকে এমাদুলের মামাসহ তার সজনরা মামলা তুলে নেয়ার কথা বলে তর্ক করেন। এক পর্যায়ে মামলা প্রত্যাহার না করলে তাকেও প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়। কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের লস্করপুর গ্রামের খালেক আকনের ছেলে এমাদুলের সঙ্গে তালতলী উপজেলার ছাতনপাড়া এলাকার সোহরাব গাজীর মেয়ে সালমা আক্তারের ২০১৫ সালে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় সালমার বাবা মেয়ে জামাইকে যৌতুক হিসেবে নগদ টাকা স্বর্ণলঙ্কারসহ তিন লাখ টাকার মালামাল দেয়। বিয়ের তিন বছর পরেই এমাদুল মাহেন্দ্র গাড়ি কেনার অজুহাতে আরও তিন লাখ টাকা যৌতুক চায়। এ দাবী মেটাতে না পারায় শুরু হয় নির্যাতন ও মারধর। যার শেষ পরিণতি জীবন দিতে হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আলমগীর হোসেন জানান, আদালত ভবনের সামনে নিহত সালমার বাবা সোহরাব গাজীর সাথে এমাদুলের আত্মীয়রা তর্ক (কথার কাটাকাটি) করেছে বলে খবর পেয়েছি। মামলার সঠিক তদন্ত পূর্বক আদালতে শীঘ্রই চার্জশিট দাখিল করা হবে।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply