মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ০৯:২৬ পূর্বাহ্ন
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ
অপহরণের দের মাস পরে আমতলী উপজেলার এক মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে উপজেলার টিয়াখালী গ্রামের সাইদুল প্যাদার বাড়ীর সামনে থেকে অপহৃতা উদ্ধার এবং অপহরণকারী শাহিন খাঁনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার অপহরনকারী শাহিন এবং অপহৃতা মাদ্রাসা ছাত্রীকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরন করা হয়। আদালতের বিচারক মোঃ সাকিব হোসেন অপহরনকারী শাহিনকে জেল হাজতে এবং অপহৃতার জবানবন্দি শেষে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
জানাগেছে, উপজেলার গাজীপুর গ্রামের এক মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রীকে পাশ্ববর্তী গলাচিপা উপজেলার নলুয়াবাগী গ্রামের কালাম ওরফে কালু খাঁনের বখাটে ছেলে শাহীন খাঁন উত্যাক্ত করে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু ওই ছাত্রী বখাটে শাহীনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। এতে ক্ষিপ্ত হয় শাহীন। গত ১৭ ফেব্রæয়ারী বিকেলে গাজীপুর বাজার থেকে বখাটে শাহীন ও তার চার সহযোগী ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক মোটর সাইকেলে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। দীর্ঘ দের মাস অপহৃতা মাদ্রাসা ছাত্রীর কোন হদিস ছিল না। অপহৃতা অভিযোগ করেন বখাটে শাহীন গত দের মাস আটকে রেখে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। এ ঘটনায় অপহৃতার বাবা বাদী হয়ে শাহীনকে প্রধান আসামী করে চার জনের নামে আমতলী থানায় অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। শনিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার টিয়াখালী গ্রামের সাইদুল প্যাদার বাড়ীর সামনে থেকে অপহৃতাকে উদ্ধার এবং বখাটে অপহরণকারী শাহীন খাঁনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার অপহরনকারী শাহীন এবং অপহৃতাকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেছে। আদালতের বিচারক মোঃ সাকিব হোসেন অপহরণকারী শাহীনকে জেল হাজতে এবং অপহৃতার জবানবন্দি শেষে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। ওই দিনই অপহৃতার ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
অপহৃতা বলেন, শাহীন ও তার চার সহযোগী আমাকে জোরপুর্বক মোটর সাইকেলে তুলে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে আটকে রেখে শাহীন ধর্ষণ করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
আমতলী থানার এসআই মোঃ সোহেল রানা বলেন, অপহৃতার ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, অপহৃতা এবং অপহরণকারী শাহীনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply