লকডাউনে আমতলীতে তরমুজ ব্যবসায় ধস; ক্রেতা শূন্য বাজার | আপন নিউজ

মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০৪:২৮ পূর্বাহ্ন

প্রধান সংবাদ
গলাচিপায় বিটিএফ স্কুলের শতভাগ বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের এমপির সংবর্ধনা গলাচিপায় কালবৈশাখী আতঙ্কে তরমুজ চাষিরা তালতলীতে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ঘর-জমি পাচ্ছেন ৩০ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন বামনা উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা বুধবার কলাপাড়া আইনজীবী কল্যাণ সমিতির নাথুরাম সভাপতি, আনোয়ার সম্পাদক নির্বাচিত গলাচিপায় অবশেষে বিয়ে করলেন আরিফ-মারিয়া গলাচিপায় আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় জমিসহ গৃহ উদ্বোধন বিষয়ে ইউএনও’র প্রেস ব্রিফিং এসো মিলি ইতিহাসের আঙিনায় স্মৃতিমন্থনে জেলার শ্রেষ্ঠ থানা মহিপুর, শ্রেষ্ঠ ওসি আবুল খায়ের গলাচিপায় ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি বিষয়ে গনসচেতনতা মূলক মাঠ মহড়া
লকডাউনে আমতলীতে তরমুজ ব্যবসায় ধস; ক্রেতা শূন্য বাজার

লকডাউনে আমতলীতে তরমুজ ব্যবসায় ধস; ক্রেতা শূন্য বাজার

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ
লকডাউনে আমতলীতে তরমুজ ব্যবসায় ধস নেমেছে। বাজারে রয়েছে ক্রেতা শূণ্য। অর্ধেকে নেমে এসেছে তরমুজের মূল্য। বিপাকে পরেছে তরমুজ ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা বলেন, ক্রেতা না থাকায় তরমুজ বিক্রি করতে পারছি না। স্থানীয় ক্রেতাদের কাছে দুই’একটি যা বিক্রি হচ্ছে, তা দাম গত দিনের অর্ধেক। তারা আরো বলেন, কাঁচা পন্য বেশী দিন ধরা রাখা যায় না, তাই লোকসান হলেও বিক্রি করে দিতে হয়।
আমতলী কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, এ বছর আমতলীতে তরমুজের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৯’শ ৯০ হেক্টর। ওই লক্ষমাত্রা অর্জিত হয়েছে। এ বছর তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। মৌসুম শুরুতে ভালো চাহিদা থাকায় বাজারে বেশী দামে তরমুজ বিক্রি হয়েছে। এতে এ বছর ভালো  ব্যবসার স্বপ্ন দেখেছিল ব্যবসায়ীরা। কিন্তু প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সোমবার থেকে দেশব্যাপী সাত দিনের লকডাউন ঘোষনা শুরু হয়েছে। এ লকডাউনে কারনে তরমুজ ব্যবসায় ধস নেমেছে। বাজারে রয়েছে ক্রেতা শূন্য। অর্ধেকে নেমে এসেছে তরমুজের মূল্য। বিপাকে পরেছে তরমুজ ব্যবসায়ীরা এমন দাবী ব্যবসায়ীদের। কাচা পন্য পচে যাওয়ায় ভয়ে তারা লোকসানে বিক্রি করে দিচ্ছেন।
সোমবার বিকেলে বাঁধঘাট চৌরাস্তায় তরমুজ বাজার ঘুরে দেখা গেছে বাজারে ক্রেতা শূন্য। মাঝারী ধরনের একটি তরমুজ বিক্রি হয়েছে মাত্র ্এক’শ ২০ টাকায়। লকডাউনের আগের দিন ওই তরমুজ ছিল ২’শ টাকা বলে দাবী করেন ব্যবসায়ীরা।
আমতলী বাঁধঘাট চৌরাস্তায় তরমুজ ব্যবসায়ী রিপন চন্দ্র মৌয়ালি  বলেন, ক্রেতা না থাকায় তরমুজ বিক্রি করতে পারছি না। এক লক্ষ টাকার তরমুজ ষাট হাজার টাকা দাম হাকাচ্ছে ক্রেতারা।   তিনি আরো বলেন, কাঁচা পন্য পচে যাওয়ার ভয়ে লোকসানে বিক্রি করতে হচ্ছে।
একই বাজারের ব্যবসায়ী বাবুল মৃধা বলেন, লকডাউনের কারনে বাজারে লোকজন আসছে না। ক্রেতা নেই। তাই কম দামে তরমুজ বিক্রি করছি। স্থানীয় ক্রেতাদের কাছে দুই’একটি  বিক্রি করছি। তা দাম গত দিনের অর্ধেক।
আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার সিএম রেজাউল করিম বলেন, লকডাউনের কারনে বাজারে মানুষ যাচ্ছে না। তাই দাম কমে গেছে। তিনি আরো বলেন, আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে।

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.




© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com

Design By MrHostBD
error: সাইটের কোন তথ্য কপি করা নিষেধ!!