জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে আমতলীর ইটভাটার শ্রমিকরা | আপন নিউজ

শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩, ০৮:২৮ পূর্বাহ্ন

প্রধান সংবাদ
পটুয়াখালীস্থ গলাচিপাবাসী”র আয়োজনে ইফতার মাহফিল আমতলী গাজীপুর বন্দরের বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধের জমি অবৈধ দখলে ৬১ ঘর উচ্ছেদে নোটিশ আমতলীতে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা গলাচিপায় মাসিক আইন-শৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত কলাপাড়ায় সিপিপি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগে মামলা দায়ের কলাপাড়ায় ইফতার সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে পলিথিন কিংবা খবরের কাগজে ঠিকাদারের গাফিলতিতে আমতলী উপজেলা প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ কাজ অনিশ্চিত গলাচিপা হাসপাতালে চলছে রমরমা কমিশন বাণিজ্য, রোগী এলেই পরীক্ষা তালতলীতে মুদি দোকানে টিসিবির পণ্য বিক্রি করায় দোকানিকে ১২ দিনের কারাদণ্ড গলাচিপা ইউএনওর স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে আমতলীর ইটভাটার শ্রমিকরা

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে আমতলীর ইটভাটার শ্রমিকরা

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ

করোনার প্রাদুর্ভাব উপেক্ষা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমতলীর ইটভাটাতে কাজ করছে শ্রমিকরা। শ্রমিকদের অভিযোগ চুক্তি ভিত্তিক কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত মালিকরা তাদের ছুটি দিচ্ছে না। মালিকরা বলেন, শ্রমিকদের কাজ করতে কোন বাধ্য বাধকতা নেই তারা ইচ্ছা করেই ছুটি নিচ্ছে না।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলায় ঝিকঝ্যাক ও ড্রামচিমনি ২০ টি ইটভাটা রয়েছে। প্রত্যেক ইটভাটাতে অন্তত ১’শ ৫০ থেকে ২’শ শ্রমিক কাজ করে। ওই হিসেবে উপজেলার সকল ইটভাটাতে অন্তত সাড়ে তিন হাজার শ্রমিক কাজ করছে। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে গত ৫ এপ্রিল সাধারণ ছুটি ঘোষনা করে সরকার। ওই সময় থেকে সকল মানুষ করোনা ভাইরাসের প্রভাব থেকে জীবন রক্ষায় ঘরে অবস্থান করছে। কিন্তু আমতলীর ইটভাটার শ্রমিকরা করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইটভাটাতে কাজ করছে। সকল মানুষ সরকারের নির্দেশনা মানলেও আমতলী ইটভাটার মালিকরা তা মানছে না। তারা সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে শ্রমিকদের ছুটি না দিয়ে ইটভাটাতে কাজ করাচ্ছেন। শ্রমিকরা ছুটি চাইলেও তারা ছুটি দিতে টালবাহানা করছে এমন অভিযোগ শ্রমিকদের। ছুটি না পেয়ে কিছু শ্রমিক করোনা ভাইরাসের ভয়ে ইটভাটা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। শ্রমিকরা জানান, ছয় মাসের চুক্তিতে ইটভাটায় কাজ নিয়েছি। চুক্তি শেষ না হওয়া পর্যন্ত মালিক ছুটি দিচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে করোনা ভাইরাসের প্রকোপের মধ্যেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। তারা আরো জানান, কিছু শ্রমিক করোনা ভাইরাসের ভয়ে ছুটি না পেয়ে কাজ রেখে পালিয়ে গেছে। এদিকে গত বৃহস্পতিবার ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল ইসলাম ইটভাটাতে অভিযান চালিয়ে ১০টি ইটভাটার অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে যান। কিন্তু অজ্ঞাত কারনে রবিবার ওই সকল ইটভাটার অফিস কক্ষের তালা খুলে দেয়া হয়েছে। তারা পুরোদমে কাজ শুরু করেছেন।
রবিবার জিমি, ঢাকা ও আরএএবি ইটভাটা ঘুরে দেখাগেছে, ইটভাটা গুলোতে নারী ও পুরুষ শ্রমিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে। ভাটাতে ইট পোড়ানো হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শ্রমিক বলেন, ছয় মাসের ছুক্তিতে ইটভাটায় কাজ নিয়েছি। ছুক্তি শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাজ করতে হবে। মালিকতো করোনা ভাইরাস চেনে না। শ্রমিকদের বাঁচা না বাঁচা নিয়ে মালিকদের মাথা ব্যথা নেই। তারা আরো বলেন, করোনা ভাইরাসের কারনে ছুটি চেয়েছিলাম কিন্তু ছুটি না দিয়ে উল্টো তারা বলেন করোনা মনোরা বলতে কিছুই নেই।
আমতলী কেএবি ইটভাটার মালিক মোঃ হাসান মৃধা আপন নিউজকে বলেন, আমার ভাটাতে শ্রমিকদের কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। শুরু ইট পোড়ানোর কাজে কয়েকজন শ্রমিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করছে। তিনি আরো বলেন, সকল ইটভাটার উচিত কাজ বন্ধ রেখে শ্রমিক ছুটি দেয়া।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান আপন নিউজ’কে বলেন, গত বৃহস্পতিবার ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে কয়েকটি ইটভাটায় তালা দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরো অভিযান পরিচালনা করে আইনের আওতায় আনা হবে।

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.




© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com

Design By MrHostBD
error: সাইটের কোন তথ্য কপি করা নিষেধ!!