আমতলীতে তরমুজের টাকা ভাগাভাগি | আপন নিউজ

মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৫৩ অপরাহ্ন

প্রধান সংবাদ
জমে উঠেছে আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন; তিন প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস আমতলীতে ডায়েরীয়ার প্রকোপ, স্যালাইন সংঙ্কট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৬ জনের বেডে ৩১ জনের চিকিৎসা! কলাপাড়ায় ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক কে পি’টি’য়ে জ’খ’ম করার অভিযোগ গলাচিপায় ডায়রিয়ার প্রকোপ, শিশুর মৃ’ত্যু কলাপাড়ায় জমিসংক্রান্ত বিষয় সালিশি বৈঠক শেষে হামলা; তিনজনকে কু’পি’য়ে জ’খ’ম কলাপাড়ায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে মা-ছেলে ও ছেলের বউকে পি’টি’য়ে জ’খ’ম করার অভিযোগ কাউনিয়ায় কৃষক লীগের ৫২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন তালতলীতে ভাসুরের বিরুদ্ধে ধ’র্ষ’ণ চেষ্টার মামলায় এলাকায় ক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ তালতলীতে দুই সাংবাদিকসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে সাইবার মামলা আমতলীতে ৬ কেজি গাঁ’জা’সহ বিক্রেতা গ্রে’প্তা’র
আমতলীতে তরমুজের টাকা ভাগাভাগি

আমতলীতে তরমুজের টাকা ভাগাভাগি

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।।

সালিস বৈঠকে তরমুজ বিক্রির টাকা ইউপি সদস্য মামুন সিকদার ও গাজীপুর পুলিশ ফাড়ির এএসআই নাজমুল হোসেন ভাগাভাগি করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তরমুজ ব্যবসায়ী মোঃ আফাজ উদ্দিন এমন অভিযোগ করেন। এ ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

এ ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তি দাবী করেছেন এলাকাবাসী।
জানাগেছে, উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের উত্তর সোনাখালী গ্রামের মোঃ মোস্তফা সরদার এক হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। ওই তরমুজ তিনি গত বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ী আফাজ উদ্দিনের কাছে ৭৭ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন। কিন্তু ব্যবসায়ী আফাজ উদ্দিন ক্ষেত থেকে তরমুজ কেটে নেয়নি। এদিকে তুরমুজের মৌসুম প্রায় শেষ। এই মুহুর্তে আমতলীতে তরমুজের প্রচুর সংঙ্কট রয়েছে। উত্তরা লের তরমুজ ব্যবসায়ীরা হন্য হয়ে তরমুজ খুজছেন। এই সুযোগে শনিবার মোস্তফা ওই তরমুজ ক্ষেত শামিম নামের এক ব্যবসায়ীর কাছে এক লক্ষ ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়। রবিবার ব্যবসায়ী আফাজ উদ্দিন ওই ক্ষেত থেকে তরমুজ কাটতে গিয়ে দেখেন অন্য একজন তরমুজ কেটে নিয়ে যাচ্ছেন। এ সময় তিনি তরমুজ কাটতে বাঁধা দেন। এনিয়ে ব্যবসায়ী আফাজ উদ্দিন গাজীপুর পুলিশ ফাড়িতে অভিযোগ দেন। ওই দিন সন্ধ্যায় এ তরমুজ বিক্রির ঘটনায় মধ্য সোনাখালী গ্রামের খলিল খাঁনের দোকানের সামনে গাজীপুর পুলিশ ফাড়ির এএসআই নাজমুল হোসেনের উপস্থিতিতে ইউপি সদস্য মোঃ মামুন সিকদার, সোহেল রানা, ফুয়াদ, সুবজ ও খবির নামের পাঁচজনে শালিস বৈঠক বসেন। ওই বৈঠকে স্থানীয় শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। ব্যবসায়ী আফাজকে আসল ৭৭ হাজার টাকাসহ লাভের অর্ধেক ৪৬ হাজার ৫’শ টাকা শালিস বৈঠকে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। শালিস বৈঠকের সিদ্ধান্ত মতে মোস্তফা এক লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ইউপি সদস্য মোঃ মামুন সিকদারের হাতে তুলে দেয়। ইউপি সদস্য টাকা হাতে পেয়ে ব্যবসায়ী আফাজকে আসল ৭৭ হাজার টাকার সাথে লাভের মাত্র ১৫ হাজার টাকা দিয়ে দেন। অবশিষ্ট টাকার মোস্তফাকে ৩০ হাজার, এএসআই নাজমুলকে ১০ হাজার এবং অবশিষ্ট টাকা ইউপি সদস্য মামুন সিকদার নিয়ে যান। অপর শালিস সোহেল রানাকে ২ হাজার টাকা দেয় ইউপি সদস্য মামুন কিন্তু সোহেল এ টাকা নেয়নি বলে স্বীকার করেন তিনি। এদিকে ওইদিন রাতে ব্যবসায়ী শামিম ওই তরমুজ ট্রাকে বোঝাই করে নিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু ব্যবসায়ী আফাজ উদ্দিন ইউএনও মোঃ আসাদুজ্জামান ও ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদারকে জানায়। ইউএনও’র ও ওসির নির্দেশে তরমুজ বোঝাই ট্রাক গ্রাম পুলিশ রাসেল হাওলাদার আটকে রাখেন।
ব্যবসায়ী আফাজ উদ্দিন বলেন, ৭৭ হাজার টাকায় মোস্তফা সরদারের নিকট থেকে তরমুজের ক্ষেত ক্রয় করেছি। ওই তরমুজ মোস্তফা শামীম মিয়া নামের একজনের কাছে এক লক্ষ ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়। খবর পেয়ে আমি ওই তরমুজ আটকে দিই। গাজীপুর পুলিশ ফাড়ির এএসআই নাজমুল হোসেন ,ইউপি সদস্য মোঃ মামুন সিকদার, সোহেল রানা, ফুয়াদ, সুবজ ও খবির নামের ছয়জনে শালিস বৈঠক করেছে। কিন্তু ওই বৈঠকে আমাকে তরমুজ না দিয়ে আমার আসল ৭৭ হাজার এবং লাভের অর্ধেক ৪৬ হাজার ৫’শ টাকা দেয়ার কথা কিন্তু ইউপি সদস্য মামুন সিকদার তা না দিয়ে মুল টাকার সাথে মাত্র আমাকে ১৫ হাজার টাকা দিয়েছে। আমার অবশিষ্ট টাকা সে নিয়ে গেছে। এখন আমাকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমি এ ঘটনার শাস্তি দাবী করছি।
তরমুজ ক্ষেত মালিক মোঃ মোস্তফা সরদার বলেন, তরমুজ বিক্রি নিয়ে শালিস বৈঠকে মিমাংশা হয়েছে। শালিস ইউপি সদস্য মামুন সিকদার আমাকে ৩০ হাজার টাকা দিয়েছেন। কিন্তু আরো টাকা দেয়ার কথা ছিল তা দেয়নি।
শালিস মোঃ সোহেল রানা বলেন, ব্যবসায়ী আফাজ উদ্দিনকে মুল ৭৭ হাজার এবং লাভের অর্ধেক ৪৬ হাজার ৫’শ টাকাসহ মোট এক লক্ষ তেইশ হাজার ৫’শ টাকা দেয়ার সিধান্ত হয়েছে। কিন্তু ইউপি সদস্য মামুন সিকদার তাকে আসল ৭৭ হাজার টাকার সাথে লাভের ১৫ হাজার টাকা দিয়েছে এবং বাকী টাকা সে আত্মসাৎ করেছে।
গাজীপুর পুলিশ ফাড়ির এএসআই মোঃ নাজমুল হোসেন ১০ হাজার টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম।
আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার আপন নিউজ’কে বলেন, তরমুজ বিক্রি নিয়ে একটি ঘটনা শুনেছি। কিন্তু এ বিষয়ে অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com

Design By JPHostBD
error: সাইটের কোন তথ্য কপি করা নিষেধ!!