শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৫ পূর্বাহ্ন
বরিশাল ব্যুরোঃ প্রেমের ফাঁদে ফেলে দুই সন্তানের জননীকে বাগিয়ে নেয়ার অভিযোগে পরকীয়া প্রেমিক নোমানসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে বরিশালের আদালতে মামলা হয়েছে।
ওই নারীর প্রবাসী স্বাম সালাম মুন্সি দেশে ফিরে অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কোতোয়ালি থানার ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় আসামিরা হলেন, পরকীয়া প্রেমিক নগরীর ৫নং ওয়ার্ড পলাশপুর বৌ-বাজার এলাকার মৃত সৈয়দ আহমদ চৌধুরীর ছেলে মো. নোমান (৩৫), প্রবাসীর (বাদি) স্ত্রী নাহিদা বেগম (৩৫) ও তাদের সহযোগী রশিদ শিকদারের স্ত্রী সানু বেগম (৫৫)।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সদর উপজেলার চরমোনাই গ্রামের সালাম মুন্সির সঙ্গে ১৫ বছর আগে নাহিদা বেগমের বিয়ে হয়। তাদের দুই সন্তান (এক ছেলে ও এক মেয়ে) রয়েছে। কর্মসূত্রে ৪ বছর পূর্বে সালাম মুন্সি দেশের বাহিরে যান। এ সুযোগে নোমান তার বসতঘরে অবাদে যাওয়া-আসা শুরু করেন। বিষয়টি আপত্তিকর মনে করে সালাম মুন্সির মা ও অন্যান্য স্বজনরা নোমানকে বসতঘরে আসতে নিষেধ করলেও তিনি তা উপেক্ষা করেন। পরকীয়া প্রেমিক নোমান ও নাহিদা বেগম তাদের ইচ্ছেমতো চলাফেরা করতে থাকেন। এলাকাবাসী তাদের নিষেধ করলেও কাজে আসেনি। একপর্যায়ে তাদেরকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলে এলাকাবাসী। মামলার আসামি সানু বেগম তাদের এই অনৈতিক কাজে সর্বময় সহযোগিতা করেন। এরপর গত ২০২১ সালের ৩০ জুলাই সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে সানু বেগমের সহায়তায় নাহিদা বেগম স্বামী সালাম মুন্সির অনুপস্থিতিতে বাসার সব মালামাল নগদ টাকাসহ (আনুমানিক মূল্য ৯ লাখ ৬৫ হাজার টাকা) চুরি করে ট্রাকযোগে নোমানের ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়।
নোমান চৌধুরী বলেন, ‘আমি সালাম মুন্সির স্ত্রীকে ফুসলিয়ে বাগিয়ে বিবাহ করিনি। তার স্ত্রী তাকে ডিভোর্স দেয়ার ৩ মাস পরে আইনানুগভাবে আমার সঙ্গে পুনরায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।
সালাম মুন্সির বাসার মালামাল আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘নাহিদা বেগম তার মালামাল নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকেন।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply