গলাচিপায় প্রধানমন্ত্রীর ঘরের আশায় পথে পথে ঘুরছে হতদরিদ্র পরিবার | আপন নিউজ

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৭ অপরাহ্ন

প্রধান সংবাদ
আমতলী সদর ইউপি নির্বাচনে শেষ সময়ে প্রচারনায় ব্যস্ত প্রার্থীরা; জরিপে এগিয়ে মোতাহার আমতলী একে স্কুল মহাসড়ক থেকে ৪৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কলাপাড়ায় দূর্যোগ সচেতনতা মূলক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত কলাপাড়ায় ট্রাক কেনার কথা বলে আপন ভাতিজীর টাকা নিয়ে উধাও আপন চাচা জমে উঠেছে আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন; তিন প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস আমতলীতে ডায়েরীয়ার প্রকোপ, স্যালাইন সংঙ্কট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৬ জনের বেডে ৩১ জনের চিকিৎসা! কলাপাড়ায় ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক কে পি’টি’য়ে জ’খ’ম করার অভিযোগ গলাচিপায় ডায়রিয়ার প্রকোপ, শিশুর মৃ’ত্যু কলাপাড়ায় জমিসংক্রান্ত বিষয় সালিশি বৈঠক শেষে হামলা; তিনজনকে কু’পি’য়ে জ’খ’ম কলাপাড়ায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে মা-ছেলে ও ছেলের বউকে পি’টি’য়ে জ’খ’ম করার অভিযোগ
গলাচিপায় প্রধানমন্ত্রীর ঘরের আশায় পথে পথে ঘুরছে হতদরিদ্র পরিবার

গলাচিপায় প্রধানমন্ত্রীর ঘরের আশায় পথে পথে ঘুরছে হতদরিদ্র পরিবার

সঞ্জিব দাস, গলাচিপাঃ গলাচিপায় প্রধানমন্ত্রীর ঘরের আশায় পথে পথে ঘুরছে হত দরিদ্র শহীদ হাওলাদার। শহীদ হাওলাদার হচ্ছেন উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের আলগী তাফাল বাড়িয়া গ্রামের হাচন হাওলাদারের ছেলে। স্ত্রী ও তিন কন্যা সন্তানের পরিবারটির একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি তিনি নিজেই। জীবন যুদ্ধের এক অসহায় দিন মজুরের জীবনের গল্প বড়ই করুন। জীবিকার তাগিদে দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর ধরে মানুষের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। নিজের বলতে বাবার দেয়া দুই শতক জায়গা আছে। আর সেই জায়গায় কোন রকম ছাউনি দিয়ে থাকে শহীদ হাওলাদার। ঘর তোলার সামর্থ্য তার নেই। কাজ করতে করতে হাঁপিয়ে উঠেছেন শহীদ হাওলাদার। বয়স হয়ে গেছে। আগের মত আর কাজ করতে পারেন না বলে তিনি আজ হতাশাগ্রস্থ। পরের কাজ করে কত আর ভাল থাকা যায়। সংসারে অভাব অনটন লেগে থাকে প্রতিটি মূহুর্ত।

শহীদ হাওলাদার বলেন, সময়ের সাথে সাথে সবকিছুই আজ কেমন যেন অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে। নিজের ইচ্ছা থাকলেও মেয়েদেরকে ঠিকমত মানুষ করতে পারছি না। আমার কোন ছেলে না থাকায় সংসারের ঘানি আমাকে এখনো বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। দিন দিন শরীরের কাজ করার ক্ষমতা কমে যাইতেছে। জীবনে মনে হয় ঘর তুলে শান্তি করা হবে না আমার। স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে দিন কাটাতে হয় বড় কষ্টের মাঝে। বর্ষা এলেই নেমে আসে জীবনের সবচেয়ে বড় কালো অধ্যায়। বৃষ্টির পানিতে ভিজে যায় ঘরের ভিতরের সবকিছু। ঘর ঠিক করানোর মত টাকাও নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গরিব মানুষেরে ঘর দিতেছেন। তাই আমি যদি একটা ঘর পেতাম তাহলে শেষ বয়সে একটু সুখে কাটাতে পারতাম।

ইউপি সদস্য মো. মামুন সরদার বলেন, আসলেই শহীদ অসহায় ও গরিব। সরকারি একটি ঘর পেলে তার খুব উপকার হতো।

আমখোলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান মনির বলেন, সরকারিভাবে একটি ঘর পেলে অসহায় পরিবারটি ভালো থাকতো। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিষ কুমার বলেন, আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি। অসহায় পরিবার হলে অবশ্যই ঘর পাবে।

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com

Design By JPHostBD
error: সাইটের কোন তথ্য কপি করা নিষেধ!!