বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২০ পূর্বাহ্ন
গলাচিপা (পটুয়াখালী)প্রতিনিধিঃ বীর মুক্তিযোদ্ধা নিরঞ্জন বিশ্বাস ১৯৩৩ সালে আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া উপজেলার উত্তর সোনাখালী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতাঃ মৃত শরৎচন্দ্র বিশ্বাস, মাতাঃ সুর বালা। তিনি অত্র এলাকার সম্ভ্রান্ত হিন্দু পরিবারের সন্তান ও প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার ছিলেন।বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ডাকে গঠিত আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন।স্থানীয় রাজাকাররা তার ব্যাপারে পাকিস্তান বাহিনীকে অবহিত করে।১৯৭১ সালের আগস্ট মাসের ৪ তারিখ তিনি আমতলী থেকে পায়ে হেঁটে গলাচিপা যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে রাজাকারদের তথ্য মোতাবেক পাকিস্তান হানাদার বাহিনী তাকে গ্রেফতার করে গলাচিপা থানায় নিয়ে যায়। সংবাদ পেয়ে তার মা সুর বালা ৫ বছরের শিশু সন্তান মনু বিশ্বাসকে কোলে নিয়ে গলাচিপা থানায় যান, সেখানে পাকিস্তানি বাহিনী ও রাজাকারদের হাতে পায়ে ধরে অনেক কান্নাকাটি করেও নিরঞ্জন বিশ্বাসকে মুক্ত করতে পারেনি।
গলাচিপা থানা থেকে তাকে নেওয়া হয় পটুয়াখালী জেলে, সেখানে অনেকের সাথে তাকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়। লাশ মাটিচাপা দেয়। গলাচিপা পৌরসভায় ৪ নং ওয়ার্ডের বটতলায় রতনদী মৌজায় ১০৮ নং জেলে ৪৩৬ নং খতিয়ানে ১২৪ নং দাগে ১৩.৭৫ জমির পরিমান শতাংশে ক তপসিল ভুক্ত অর্পিত সম্পত্তি ৪১ পিকে ৭১/৭২ তালিকাভুক্ত দাগের উপর উত্তর অংশে ৩ শতাংশ জমির উপর মনু বিশ্বাসের পরিবারের ঘরবাড়ী ডিসিআর পাওয়ার জন্য পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের বরাবরে লিখিত আবেদন করেন। জেলা প্রশাসক আবেদনটি আমলে নিয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)কে দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিষয়টি আমলে নিয়ে গলাচিপা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।যার স্বারক নম্বর ১২০৯ তাং ১২/০৯/২০২২।
এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার মনু বিশ্বাস বলেন, আমার বড় ভাইকে সোনাখালী থেকে ধরে এনে গলাচিপায় এনে গুরি করে মেরে ফেলে। আমি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের একজন সদস্যা আমি যাতে ভাইয়ের ও বাবার সম্পত্তি পেতে পারি এই দাবী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply