বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০৫:৩৯ অপরাহ্ন
লেখকঃ মোহাম্মদ শরিফুল ইসলামঃ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিস্টার ফাইনাল পরিক্ষা চলতেছে, থর্ট অফ ল সাবজেক্টে পরীক্ষার শেষ বইটা রিসিভ করি। এবং কুরিয়ার সার্ভিসে বসে কিছুক্ষণ নেড়ে দেখলাম বইটা। বেশ ভালোই লাগতেছে বইটি কারণ মুসলিমদের জন্য একটা সহজ ভাষার, দিক নির্দেশনা মূলক বই।
বইটির শুরুটা হয় “আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম দিয়ে”
অর্থঃ আমি আল্লাহর নিকট বিতাড়িত শয়তান থেকে আশ্রয় চাচ্ছি।
“জাতি-ধর্ম-যুগে নিরাপত্তা ও কল্যাণের ধারণা” বইটা থেকে বুঝাই যাচ্ছে বইটি বর্তমান সময়ে কতটা গুরুত্বপূর্ণ মুসলিমদের জন্য।
বইটি সম্পর্কে জানার পর থেকে বইটির প্রতি অদৃশ্য নেশা পেয়ে বসে,বিশেষ করে একজন মুসলিমকে কিভাবে দ্বীনের প্রতি আসক্ত করে তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ হতে পারে বইটি।শুধু কোনো বিষয়ের সৌন্দর্য মুগ্ধতা মানুষের মনকে কিভাবে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটায় তা হইতো এই বইটি না পড়লে শিখতে পারতাম না।
বইটার আরেকটা বিষয় নজর কেড়েছে; বইটিতে শ্রী মহালক্ষী ইয়ান্ত্রা প্রতীক হিন্দু শাস্ত্রের অনুসারীদেরকেও প্রতিরক্ষার উদ্দেশ্যে বিশিষ্ট ব্যবহার করতে দেখা যায়। শ্রী মহালক্ষী ইয়ান্ত্রা, এই প্রতীকটি হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেক স্বল্প সময়ের মধ্যে সম্পদ এবং প্রশান্তি লাভের আশায় ব্যবহার করে থাকে। প্রতিটিতে ছয়টি তীর থাকে এবং কেন্দ্রে প্রকোষ্ঠে “আঁ’ লেখা হয় যা দ্বারা ” আওম ” নির্দেশ করে।
“জাতি-ধর্ম-যুগে নিরাপত্তা ও কল্যাণের ধারণা” বইটি নিয়ে বসে ছিলাম পড়ার টেবিলে একটানা শেষ করার পর এক ভিন্ন রকম অভিজ্ঞতা অজর্ন হলো। একাডেমিকের বাইরে যতগুলো বই পড়েছি
তাঁর মধ্যে অন্যতম “জাতি-ধর্ম-যুগে নিরাপত্তা ও কল্যাণের ধারণা”
বইটা প্রাচ্যের সঙ্গে প্রতীচ্যের চমৎকার মেলবন্ধনের দলীল।
অধ্যাপক মোঃ শরিফুল ইসলাম,”জাতি-ধর্ম-যুগে নিরাপত্তা ও কল্যাণের ধারণা” নামে বইয়ের বিষয়বস্তু নির্বাচনে শেষ অবধি পাঠক-আগ্রহকে ধরে রাখতে লেখনীর জাদুময় প্রভাব ছিল। এবং অসাধারণ তথ্য সমৃদ্ধ লেখনীতে শতোভাগ সফল।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply