শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৫৮ পূর্বাহ্ন
উত্তম কুমার, বাউফলঃ বাউফলে বলৎকারের শিকার মাদ্রাসার ছাত্র আতিকুল ইসলামের (১১) লাশ একটি মসজিদের সেপটি ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (৩ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১০টার দিকে বাউফলের কাছিপাড়া ইউনিয়নের পাকডাল গ্রামের ফজলুর রহমান মুন্সী বাড়ির মসজিদের সেপটি ট্যাংক থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। আতিকুল ইসলাম স্থানীয় ফজলুর রহমান রাহীমিয়া দারুল উলুম নুরানী হাফেজী ও এতিমখানার হেফজ শ্রেণির ছাত্র। আতিকের বাবার নাম সরেয়ার সরদার। পাশ্ববর্তী বাকেরগঞ্জ উপজেলার দূর্গাপাশা ইউনিয়নের মধ্য জিড়াইল গ্রামে তার বাড়ি। সে বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে।
জানা গেছে, একই মাদ্রাসার ইসমাইল (১৮) নামের এক ছাত্র আতিককে প্রায়ই জোড় করে বলৎকার করতো। ঘটনার দিন শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার ইসমাইল আতিককে বলৎকার করে। আতিক বিষয়টি মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে জানানোর কথা বললে ইসমাইল তাকে গলায় গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা । এরপর আতিকের লাশ মাদ্রাসা থেকে প্রায় ৫শ মিটার দূরে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ফজলুল রহমান মুন্সীর বড়ির মসজিদের সেপটি ট্যাংকের ভিতরে ফেলে রাখে। ঘাতক ইসমাইলের বাবার নাম মৃত আলম সওদাগার, ঢাকার মানিকদি ক্যান্টমেন্ট এলাকায় তার বাসা। তার মা কুলসুম বেগম বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এই সুবাধে সে মায়ের সাথে এসে ওই মাদ্রাসায় ভর্তি হয়। ইসমাইল এ ঘটনা তার মাদ্রাসার এক শিক্ষককে জানালে তাকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ি সেপটি ট্যাংক থেকে আতিকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনার পর ঘাতক ইসমাইলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ওই রাতেই কয়েকশ স্থানীয় লোক মাদ্রাসার ক্যাম্পাসে মিছিল করেছেন এবং মাদ্রাসায় হামলা করে ভাংচুর করে।
বাউফল থানার ওসি আরিচুল হক বলেন, ‘ঘাতক ইসমাইলকে গ্রেফতার করা হয়েছে, আতিকের লাশ ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply